আনিস কাণ্ডে নষ্ট বহু তথ্য, দেহই চুরি যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক আনিসের মৃত্যুর তদন্তে কোনও সুর্নিদিষ্ট নিয়ম মানা হয়নি, পুলিশের গা ছাড়া মনোভাবে বহু তথ্য-প্রমাণও নষ্ট হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। অন্যদিকে, কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের কথা বলেছিল পুলিশ, তাতে সাফ না করে দিয়েছেন আনিসের বাবা। এখন সেই দেহই চুরি যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি বলেছেন, কবরে শায়িত দেহের যে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে এখন তা বোঝাই যাচ্ছে। অথচ এই দেহ নিরাপত্তা ছাড়াই পড়ে রয়েছে। তাঁর দাবি, পুলিশ কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করলে তার রিপোর্টে নয়ছয় হতে পারে। হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আনিস মৃত্যু কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও এক জন হোম গার্ডকে। ধৃতরা হলেন কাশীনাথ বেরা, তিনি হোম গার্ড এবং অন্যজন প্রীতম ভট্টাচার্য, যিনি সিভিক ভলান্টিয়ার। আনিসের মৃত্যুর তদন্তভার সিটের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আইএসএফের দাবি, পুলিশ প্রভাবশালীদের আড়ালে রেখে নীচু তলার দুই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, শুরু থেকেই ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে পুলিশের গা ছাড়া মনোভাব দেখা গেছে। রাতে কারও বাড়িতে তল্লাশি করার নিয়ম রয়েছে। আনিসের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। তাছাড়া পুলিশের গাফিলতিতে বহু তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। আনিসের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তাঁর পরিবার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, সিবিআই তদন্তের দাবি রাজ্য সরকার মানবে না। আনিসের বৃদ্ধ বাবা বলেছেন, দিদিকে সম্মান করি। দিদির প্রস্তাবও মাথায় রইল।
কিন্তু আনিসের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চাই। , পুলিশকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে। কিন্তু সিবিআই-কে দিয়েই তদন্ত করানোর দাবি গোটা পরিবারের। বৃদ্ধ সালেমের বক্তব্য, ঘটনার দিন পুলিশের বেশেই এসেছিল আততাতীয়রা। তারা দুষ্কৃতী ছিল নাকি পুলিশ, তা জানা যায়নি এখনও। যদি পুলিশই এনকাউন্টার করে তাহলে তদন্তে ভরসা করা যাবে কেমন করে। পুলিশই মেরেছে, এদিকে তদন্তও পুলিশই করছে। কোনও নথি জমা দিতে হলে তা আদালতকেই দেবেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ সালেম।