মমতার ইশারায় মহিলা বিধায়করা হেনস্থা করেছ ধনখড়কে
নিউজ ডেস্ক বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের প্রবল বিক্ষোভ। রাজ্যপাল ধনখড়ের ভাষণে সাম্প্রতিক ঘটনা স্থান না পাওয়ার অভিযোগেই এই বিক্ষোভ বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্যদিকে বিধানসভায় মধ্যেই দুই মন্ত্রী-সহ তৃণমূলের একাধিক মহিলা বিধায়ক রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ করে পুরো ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘যে ভাবে রাজ্যপালকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে তা কখনও এই বিধানসভায় হয়নি। আমাদের মহিলা বিধায়কদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। আমার বাপ তোলা হয়েছে।’
এদিন দুপুর দুটো পঁচিশ নাগাদ ওয়েলে নেমে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে সামিল হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। স্লোগান ওঠে- আর নেই দরকার, ভোট লুঠের সরকার। পাল্টা স্লোগান শুরু করেন শাসকদলের বিধায়করাও। শুভেন্দুকে উদ্দেশ করে তৃণমূল স্লোগান দেয়- চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা।মনে করা হচ্ছে, এই স্লোগান প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বাপ তোলার কথা বলেছেন। এদিন রাজ্যপালের ভাষণ পাঠ করতে না চাওয়া এবং বিজেপির হট্টগোল নিয়ে মমতা বলেন, ‘এই প্রথম এমন দেখলাম। জানি না, ওঁর ওপর কোনও চাপ ছিল কিনা। কিন্তু উনি বারবারই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
আমাদের বিধায়করা অনুরোধ করলে উনি এক লাইন পড়লেন। আমি সে জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি ওঁকে। বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করল। এটা খুবই আনফরচুনেট। যাঁরা নিজের ওয়ার্ডে হেরে যান, তাঁরাই এসব করছেন। আজ উনি বাজেট না পড়ে চলে গেলে তা সাংবিধানিক সঙ্কট হতো। কিছু একটা প্রেশার ছিল ওঁর উপর। রাজ্যপাল ভাষণ না দিলে বাজেট সেশন শুরু করা যেত না।’ পাল্টা শুভেন্দু বলেছেন, গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার মেনেই বিজেপি বিক্ষোভ দেখিয়েছে। রাজ্যপালের বক্তৃতা, যা সরকার লিখে দিয়েছে, তা সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত