নয়া এমসিকিউ ফরমেটে স্কোর কমেছে আইএসসি
নিউজ ডেস্ক পড়ুয়াদের নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির জন্য প্রাপ্ত নম্বর কমে গিয়েছে। সদ্য প্রকাশিত আইসিএসই এবং আইএসসিতে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে যে পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বর কমে যাওয়ার ঘটনা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর করোনা অতিমারীতে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধের সময় থেকেই প্রথম অফলাইন আইসিএসই (ICSE) অর্থাৎ দশম শ্রেণি এবং আইএসসি (ISC) অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলে শিক্ষার্থীদের গড় প্রাপ্ত নম্বর হ্রাস পেয়েছে। দ্য কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট একজামিনেশনস (CISCE) সোমবার যে ফলাফল ঘোষণা করেছে, সেখানে স্পষ্ট হয়েছে যে নতুন ফর্ম্যাটের জন্যই পড়ুয়াদের এই দশা। সিলেবাসে এমসিকিউ (MCQ)-র জন্যই পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বরের গড় কমে গিয়েছে।
গত শিক্ষাবর্ষে করোনা মহামারীর জন্য বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। সিআইএসসিই (CISCE) এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) ২০২১-২২ সালে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বোর্ডে পরীক্ষা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিআইএসসিই প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে হয়েছিল এবং প্রথমবারের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সহজে প্রশ্ন (MCQs) চালু করা হয়েছিল। এমনই প্রশ্ন হয়েছিল যা ৯০ মিনিটের পরীক্ষার পেপারগুলোর মধ্যে সিলেবাসের ৫০ শতাংশ মাত্র ছিল।
স্কুলগুলি জানিয়েছে, যে শিক্ষার্থীরা ২০ মাস পরে কলম-কাগজ পরীক্ষায় ফিরে আসছে এবং তাদের প্রস্তুতির জন্য কম সময় ছিল। এছাড়াও, এমসিকিউ ফর্ম্যাটটি ছাত্রদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ নতুন। প্রশ্নপত্রের নতুন পদ্ধতিতে এমসিকিউ গুলিকে এড়িয়ে বিকল্প প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছিল না পড়ুয়াদের।
দেখা যাচ্ছে গড় ৭-৮ শতাংশ কমেছে পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বর। এমসিকিউর উত্তরগুলি হয় সঠিক বা ভুল ছিল। কান্দিভলির একটি স্কুলের প্রধান বলেছেন,”অনলাইনে পরীক্ষা হলেও যা হত এই পদ্ধতিতে পরীক্ষাতে তাই ঘটেছে।”
সিআইএসসিই প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পরে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও শিক্ষকদের একাংশের মত, ‘যারা পড়াশুনা করেছে তারা ভালো ফল করেছে। এমসিকিউ যতটা সহজ ছিল, পড়ুয়ারা ততটা সহজ মনে করেনি, নতুন ধাঁচে প্রশ্ন আসায় অনেকটাই বিভ্রান্ত হয়েছিল পড়ুয়ারা।’