দু’সপ্তাহের মধ্যে বাবুঘাট থেকে সরাতে হবে বাসস্ট্যান্ড
নিউজ ডেস্ক এদিন পরিবহণ দপ্তরের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে বাবুঘাট থেকে বদলে সাঁতরাগাছিতে সরিয়ে ফেলতে হবে বাসস্ট্যান্ড। বহুদিন ধরেই সাঁতরাগাছির স্ট্যান্ডটি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। বারবার বলেও বাসস্ট্যান্ড সরানো যায়নি। এবার ফের নির্দেশিকা জারি করা হল।
এদিকে পরিবহণ দপ্তরের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বাসমালিকরা। তাদের কথায়, জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। এমন পরিস্থিতিতে সাঁতরাগাছিতে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থ বাস রাখতে অনেকটা বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা। যার দরুন খরচ বাড়বে। এর চেয়ে বাসস্ট্যান্ড নিয়ে রাজ্য সরকার বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিক।
উল্লেখ্য, ধর্মতলা ও বাবুঘাটে বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত সেই ২০০২ সালে। ধর্মতলা ও বাবুঘাটে বাসস্ট্যান্ড থাকার কারণে ব্যাপক দূষণ ছড়াচ্ছে। এই অভিযোগে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় ধর্মতলা ও বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ দেয় বিচারপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। বাসস্ট্যান্ড সরাতে সময়ও বেঁধে দেন বিচারপতি । কিন্তু হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। তবে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ সামান্য রদবদল করে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্ট বাসস্ট্যান্ড সরাতে যে সময় বেঁধে দেয় তা খারিজ করে জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার নিজেদের সুবিধামতো বাসস্ট্যান্ড সরানোর ব্যবস্থা করবে।
এই নির্দেশের পর ফের মামলাটি হাই কোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। বাসস্ট্যান্ড সরাতে রাজ্য সরকার হাই কোর্টের বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায়। বাবুঘাট থেকে আন্তঃরাজ্য বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে সাঁতরাগাছিতে নিয়ে যেতে হবে। বাবুঘাটে স্ট্যান্ড রাখা চলবে না। এবার পরিবহণ দপ্তর থেকেও একই নির্দেশ দেওয়া হল।