কথা বলার ‘ইচ্ছে’ হারিয়েছেন ‘ট্রমাটাইজড’ বোলপুরের এই নির্যাতিতা
নিউজ ডেস্ক পাশবিক নির্যাতন কেড়ে নিয়েছে তাঁর কথা বলার ক্ষমতা, শক্তি, ইচ্ছেটুকুও। ‘নরকযন্ত্রণা’র সামিল সেই বীভৎস অভিজ্ঞতার পর থেকে আর যেন কথা-ই বলতে চাইছেন না বোলপুরের নির্যাতিতা। মানসিকভাবে এতটাই ‘ট্রমাটাইজড’ বা আতঙ্কিত তিনি। স্থির দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়েই আছেন। কথা বলতেই চাইছেন না। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসকরা খুব কষ্ট করে নামমাত্র কথা বলাতে পেরেছেন বোলপুরের নির্যাতিতা যুবতীকে দিয়ে। আজ তাঁকে সাইকিয়াট্রির বিশেষজ্ঞরা দেখবেন। এর পাশাপাশি স্ত্রীরোগ বিভাগের চিকিৎসকরাও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। তারপর প্রয়োজনমতো সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, মঙ্গলবার রাতে ওই যুবতীর একটা অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তপাত বন্ধের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয় ওই যুবতীর। আজ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হতে পারে। তাতে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও, মেডিসিন, ফরেন্সিক সায়েন্স ও সাইকিয়াট্রির চিকিৎসকরা থাকবেন।
বীরভূমের বোলপুরের মুলুক এলাকায় আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা নির্যাতিতা ওই যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাড়িতে মদ, জুয়ার আসর বসাত নির্যাতিতার বাবা। সেই আসরে প্রচুর ধার বাকি হয়ে যায়। এরপরই ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে তাঁর বাবা সহ ৪ জন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে দীপ্তি ঘোষ বলে একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতাও রয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নির্যাতিতা ওই যুবতীকে প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু তারপর তাঁর শারীরিক অবস্থা বিচার করে তাঁকে কলকাতায় SSKM হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।