বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে পানীয় জল
নিউজ ডেস্ক বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চিকিত্সা চলাকালীন পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার জন্য আলাদা টাকা নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের নতুন অ্যাডভাইজরি অনুযায়ী পরিশ্রুত পানীয় জল রোগীকে দিতে হবে বিনামূল্যে।
রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে রয়েছে অথবা কোমা স্টেজে রয়েছে এমন রোগীর কাছ থেকেও ৫০ লিটার, ১০০ লিটার জলের দাম যোগ হয় বিলে। এবার থেকে আর জলের দাম নেওয়া যাবে না। কোনও রোগী যদি নিজে ইচ্ছায় কোনও বিশেষ কোম্পানির মিনারেল ওয়াটার নেয় সেক্ষেত্রে টাকা নেওয়া যাবে।
মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য সোমবার চারটে সুপারিশ জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। যেখানে তুলে নেওয়া হয়েছে পুরনো এক সুপারিশ। করোনা আবহে রোগীর ঢল উপচে পরেছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন সে সময় নিয়ম করেছিল, ১ মার্চ ২০২০ সালের যা বেড চার্জ প্রতিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেটাই বহাল রাখতে হবে। করোনার জন্য যেন বেড চার্জ না বাড়ানো হয়। কমিশন চেয়ারম্যান এদিন জানিয়েছেন, যেহেতু করোনা বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে তাই সে সুপারিশ তুলে নেওয়া হল। বেড ভাড়া চাইলে বাড়াতে পারবে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেটা বছরে একবারের বেশি বাড়ানো যাবে নাসেটা ১০ শতাংশ
কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়া জানিয়েছেন, ‘বাকি তিনটে যে সুপারিশ কমিশন জারি করেছে তার মধ্যে প্রতিটিই আমরা মেনে চলি।’ বাকি তিনটি সুপারিশ কী? সাধারণ বেড চার্জ ৩ হাজার টাকা হলে আইসিসিইউ বা সিসিইউয়ের চার্জ অনেক বেশি। কারণ ওই সমস্ত বিভাগে অনেক উন্নততর চিকিত্সা দিতে হয়। উন্নতমানের যন্ত্র বসানো থাকে। কমিশন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আরএমও-র জন্য আলাদা করে টাকা নেওয়া হয়। সেই টাকা নিতে পারবে না। এছাড়াও ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কিছু প্রাত্যহিক কাজকর্ম থাকে। তারমধ্যে পরে রোগীর ক্যানুলা লাইন করা, রাইলস টিউব লাগানো, ক্যাথিটার লাগানো ইত্যাদি। এর জন্য আলাদা করে চার্জ নেওয়া যাবে না।