কোন্নগরে প্রথমে ‘ধর্ষণ’ সেই ভিডিয়ো ফের ‘গণধর্ষণ’
নিউজ ডেস্ক আবারও নারী নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে। কোন্নগরের এক তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। পরে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ফের ‘ধর্ষণ’ তাঁকে। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে চারজন।
হুগলির কোন্নগর চটকল এলাকার ঘটনা। গত পয়লা মার্চ এলাকারই এক যুবক তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেই ভিডিয়ো তুলে রাখে অভিযুক্তরা। অভিযোগ, পরে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বারবার ‘ধর্ষণ’ করে মেয়েটিকে। পরে, ভিডিয়োটি ভাইরালও করে দেয় তারা। এরপরই তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে উত্তরপাড়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে তদন্ত করে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা ও তার বাবার জবানবন্দি নেওয়া হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। আগামীকাল তাদের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
গোটা বিষয়টির খবর পৌঁছায় এলাকার কাউন্সিলর কে বেবির কাছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই কাউন্সিলর নাকি অভিযুক্তদের ছেড়ে দিতে বলেছেন। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, “আমি কাল রাতে যাওয়ার সময় ঘটনার খবর জানতে পারি। খুবই দু:খজনক ঘটনা। আমি কোনও ঘটনাই ধামাচাপা দিতে চাইনি। আমার কাছে এই বিষয়ে কথা বলতে কেউই আসেনি।” কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ আজ সকালে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় পৌঁছে যান। তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কমিশনার জানান, “গতকাল রাতে একটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে একটি মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের। সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে। আমরা নির্দিষ্ট মামলা করেছি। চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিডিয়ো কথা শুনেছি। তবে এখনো সেটি হাতে পায়নি।”
হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ এসব ব্যাপারে সক্রিয় আছে। যারা অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে দলকে বদনাম করতে। যারা অপরাধ করবে তারা কেউ ছাড়া পাবে না সে যে দলেরই হোক।”