সত্যজিৎ রায়ের লুকে এবার বড় পর্দায় দেখা পেতে চলেছে জিতুকে

0 0
Read Time:7 Minute, 45 Second

নিউজ ডেস্ক বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই একটা টপিক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তে বেশ চর্চা চলছে। আর সেটা হলো খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে আমাদের সবার প্রিয় মানিক বাবুর জীবনী নিয়ে একটি ছবি ” অপরাজিত “। আর সেটার ই টিজার বেরিয়ে ইতিমধ্যেই আর সেটা দেখেই নেটিজেন দের মধ্যে দুটি ভাগ হয়ে গেছে। এক , যারা জিতু কামাল এর এই লুকটা নিয়ে বেশ প্রশংসা করেছেন, তো অন্য দিকে আবার কেউ কেউ বলছেন যে এই সিনেমার জন্য জিতু কামাল ভুল স্টার কাস্ট।

তবে যারা এই সিনেমার টিজার দেখেছেন তারা অবশ্যই দেখবেন যে, এখানে জিতু কামাল কে দেখলে সবাই বলবে যে এটা তো মানিক দা র কম বয়স এর লুক। হ্যাঁ এটা সত্যি ই, জিতু কে দেখে বোঝার উপায় নেই। যে ভাব মেকআপ এর সাহায্যে নিজেকে এই ভাবে তৈরি করেছেন তাতে নিঃসন্দেহে কুর্নিশ জানাই সেই মেকআপ আর্টিস্ট কে।

উনি ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ট্রোল এর শিকার হয়েছে শুধু মত এই লুক টার জন্য। এখনো কিন্তু দর্শক সিনেমা তে ওনার অভিনয় টা দেখেন নি। দেখলে যে কি রকম রিয়াক্ট দেবেন সেটাই দেখার।

তবে ইতিমধ্যেই এই ছবিতে অভিনয়ে করার নেপথ্য এ জিতু কামাল যে নিজেকে কি ভাবে মানিক বাবু র মত হুবহু তৈরি করলেন সেটা নিয়েও কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া তে কম ঝড় ওঠে নি। ছবিটি দেখলেই আপনারা বুঝতেই পারবেন না যে উনি মানিক বাবু নন। কম বয়সের ছবি গুলো একদম এক দেখতে।

তবে একটা কথা মানতেই হবে যে উনি যে ভাবে নিজেকে মানিক বাবুর কম বয়সের লুকে নিয়ে গেছেন সেটা কিন্তু যথেষ্ট তারিফ করার মত। আর এই লুক এর পেছনে চূড়ান্ত ডেডিকেশন না থাকলে হয়তো করা সম্ভব হতো না। কিন্তু ডেডিকেশন!!!!!!??? এটা তো শুধু মাত্র হলিউড কিংবা বলিউডের সিনেমার জন্যই বলা সাজে! তাই না!???
পাতি বাংলা সিনেমার নায়করা এবার ডেডিকেশন এর ধার এর কাছে ও যান না !?

তবে সম্প্রতি জিতু কামাল এর স্ত্রী নবনীতা বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছেন। সেটা কি??? আসুন দেখে নেওয়া যাক,
উনি জানান যে, হুবহু সত্যজিৎ হতে দাঁতের পাটিতেও বদল এনেছে জিতু, সে এক রক্তারক্তি কাণ্ড।
এরপর??!!
ড্রিল মেশিন দিয়ে ঘষে ঘষে ফাঁক করা হয়েছে অভিনেতার দাঁত। একটু করে ড্রিল মেশিন চলেছে। মাড়ি কেটে রক্ত পড়েছে গলগলিয়ে। জিতু পাশের বেসিনে উঠে গিয়ে এক বার করে জমে থাকা রক্ত ফেলেছেন। আবার এসে বসেছেন নিজের আসনে। এই ভিডিও টি যখন উনি ওনার স্ত্রী কে পাঠান তখন ওনার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গেছিলো।
প্রথম লুক দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে উনি যথেষ্ঠ চেষ্টা করেছেন ” অপরাজিত” চরিত্র টির জন্য।
ওনাকে মেকআপ এর সাহায্য নিয়েই করতে হয়েছে গালে ব্রণ র দাগ থেকে শুরু করে গায়ের রং শ্যামলা, এমনকি বুকে যে বড় আঁচিল সেটাও।

উনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই নিজের শারীরিক পরিবর্তন পর্যন্ত করেছেন। নবনীতা আরো বলেন যে, সত্যজিৎ এবং জিতুর দাতেঁর পাটি আলাদা। সেখানেও সাদৃশ্য এনেছেন তিনি।
এরপর ‘‘তখন জুলাই কি অগস্ট। জিতুই সত্যজিৎ হবেন, সদ্য ঠিক হয়েছে। দু’জনের চেহারায় কী করে মিল আনা যায়, সেই আলোচনাও চলছে। জিতু পরিচালকের ঝলক, সাক্ষাৎকার দেখছে। তখনই মনে হয়েছে, পরিচালকের সঙ্গে দাঁতের পাটিতে একটুও মিল নেই ওর! সত্যজিতের দাঁতে অনেকটাই ফাঁক। জিতুর দাঁতের পাটিতে তুলনায় বেশ কম ফাঁক। একই সঙ্গে একটু উঁচু নিচু।’’ এ কথা জিতুকেও বলেন কয়েক জন। অভিনেতা কাউকে কোনও উত্তর দেননি। বাড়িতেও কিচ্ছু জানাননি। চুপচাপ চলে গিয়েছিলেন দাঁতের চিকিৎসকের কাছে।
সেখান থেকেই উনি একটি ভিডিও করে ওনার স্ত্রী কে পাঠান। আর সেটা দেখেই নবনীতা ভয় পেয়ে যান কারণ ওনার নিজের আক্কেল দাঁত তোলার সময়ের অবস্থার কথা মনে আছে। ওনাকে যে ইনজেকশান দেওয়া হয়েছিল ওনার মনে আছে। সেই রকম ইনজেকশন জিতুকে নিতে হয়েছে কয়েকটি। মাড়িতে এবং ঠোঁটে। তার পর ড্রিল মেশিন দিয়ে ঘষে ঘষে ফাঁক করা হয়েছে অভিনেতার দাঁত। একটু করে ড্রিল মেশিন চলেছে। মাড়ি কেটে রক্ত পড়েছে গলগলিয়ে। জিতু পাশের বেসিনে উঠে গিয়ে এক বার করে জমে থাকা রক্ত ফেলেছেন। আবার এসে বসেছেন নিজের আসনে। সব দেখে ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছিলো অভিনেতার স্ত্রীর।

এই ভাবেই আরো কয়েক বার ডাক্তার এর কাছে যাবার পর ই উনি ‌‍ দাঁত এর দিক থেকেও দেখতে হয়ে উঠেছেন একদম মানিক বাবুর মতোই। আর এই ব্যাপার এই বেশ আরো কিছু তথ্য জানা যাচ্ছে যে, উনি আর শক্ত কিছু খেতে ও পারেন না। নরম করেই খাবার খেতে হচ্ছে। তবে উনি যে একটা চরিত্রে র জন্য নিজের দাঁত এর সাথেই এমন টা করবেন এটা মোটেও আশা করা যায় না।
কেউ কেউ এটা কে ডেডিকেশন এর ইঙ্গিত দিচ্ছে তো আবার কেউ কেউ এটা কে নিয়ে মন্দ কথা বলতেও ছাড়ছে না। নিজের শরীর এর ওজন কমানো বা বাড়ানো হলে এক রকম হতো কিন্তু তাই বলে এমন কাজ করাটাকে অনেকেই সমর্থন করছেন না।

এবার দেখার পালা যে জিতু কামাল নিজেকে বড় পর্দায় ঠিক কত টা মানিক বাবুর মত তৈরি করতে পারলেন। সত্যিই পারলেন নাকি শুধু এই নিজেকে লুকটা কেই যা বদলাতে পেরেছেন!??
উত্তর টা জানা যাবে সিনেমা রিলিজ করার পর। হাতে গোনা কিছু দিন বাদেই সেটাও প্রমাণ হয়ে যাবে। সেটার অপেক্ষা তেই রয়েছে বাঙ্গালী সিনেমাপ্রেমী রা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!