জঙ্গলমহলে পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে নতুন ভাবনা-চিন্তা মুখ্যমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক জঙ্গলমহলে মাও উত্থান নিয়ে নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিস্তর চাপানউতর চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলা। এবার সেকথা উঠে এল শুক্রবার নবান্নে মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে মাও পোস্টারের ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন তা নিয়ে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের থেকে বিশদে জানতে চান মমতা। তবে জেলা কর্তাদের দাবি, তৃণমূল স্তরে মাও উত্থানের কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এমনকী স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেও মাও গতিবিধির কোনও প্রমাণ পাওয়া জানা যায়নি বলেও দাবি করেন তাঁরা।
নবান্নের বৈঠক থেকে মমতার সাফ দাবি, ‘একটা-দুটো পোস্টার বিজেপি লাগিয়ে দিয়েছে। আর তা নিয়ে কোনও কোনও টিভি চ্যানেল মাওবাদী-মাওবাদী বলে রাজনীতি করছে। মানুষের মধ্যে ভয় ঢোকাচ্ছে’। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন কর্তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন মমতা। পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে মানুষের মধ্য থেকে মাও ভয় কাটাতে আরও পদক্ষেপও করতে বলেন।
একইসঙ্গে কোনও মাওবাদী যদি ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। সীমান্তবর্তী এলাকায় মাও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আপাতত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান মমতা। বেলপাহাড়ি বর্ডারে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তাও খোঁজখবর নেন তিনি। এমনকী মমতা এদিনের বৈঠকে এও দাবি করেন, বেলপাহাড়ি সীমান্ত থেকে ঢোকা কিছু মাওবাদীই নতুন করে সমস্যা তৈরি করছে। তবে মমতা দাবি করলেও তা মানতে এদিন ‘রাজি হননি’ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাতে খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।