গীতাঞ্জলী প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানি নিয়েছেন
নিউজ ডেস্ক ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি অডিওকে কেন্দ্র করে। যেখানে কাটমানি প্রসঙ্গে বীরভূমের দুই তৃণমূল নেতার কথোপকথনে উঠে আসছে ঐ জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডল-এর নাম।
অডিওতে শোনা যায় দলের নেতা গীতাঞ্জলী প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দিতে কাটমানি নিয়েছেন। এই ভাইরাল অডিও ক্লিপকে ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। যদিও অডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
গত ৩০ এপ্রিল মুরারই ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা পরমানন্দ সাঁতরা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা লাইলি বিবির কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা কাটমানি চাইছেন শোনা যাচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন দলেরই আরেক নেতা অচিন্ত্য ঘোষ। গীতাঞ্জলী প্রকল্পে এই দুর্নীতির কথা জানতে পেরে অনেকেই পরমানন্দ সাঁতরার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
ঐ ভাইরাল অডিওতে শোনা যাচ্ছে, বিনয় ঘোষ বলছেন, ‘তুমি সংবাদমাধ্যমকে বলো এটা সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এটা কেষ্টদা বলেছে। তা না হলে দল ছাড়তে হবে’। ‘কাটমানির টাকা যতক্ষণ না ফেরত্ দেবে ততক্ষণ কোনও বিবৃতি দেব না’ – এই বলতে শোনা গেল অচিন্ত্য ঘোষকে। এই অডিও-র সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজগ্রাম ২৩ নম্বর পার্টের বুথ সভাপিত অচিন্ত্য ঘোষ।
রবিবার বিনয় ঘোষকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলতে শোনা গেছে, এই কাটমানি সম্পর্কে অনুব্রত বাবু কিছু জানেন না। অসুস্থ অনুব্রত বাবু এখন চিনার পার্কের বাড়িতে থেকেই জেলার সমস্ত কাজ কর্ম করছেন। এই কাটমানির সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে দল ক্ষমা করবে না