সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল
নিউজ ডেস্ক ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বিজেপি কার্যকর্তা অভিজিত্ সরকার খুনে কলকাতায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল
একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরের দিনই মৃত্যু হয়েছিল, বেলেঘাটার বিজেপির কার্যকতা অভিজিত্ সরকারের। অভিজিতের পরিবার সরাসরি বেলাঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনায় পরেশ পালকে তলব করে সিবিআই। বুধবার তাঁকে সিবিআই-র নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়।
একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরের দিনই বেলেঘাটার বিজেপির কার্যকতা অভিজিত্ সরকারের মৃত্যু হয় ।কেউ বা কারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর তাঁর পরিবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান তাঁর দাদা বিশ্বজিত্ সরকার। ভোটপরবর্তী হিংসার মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই সেই তদন্তভার গিয়ে পড়ে সিবিআই-র উপর। মৃত অভিজিত্ সরকারের দাদা বিশ্বজিত্ বারবার অভিযোগ করেন, এক বছর কেটে যাওয়ার পরেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেলেঘাটার সেই বিধায়ক পরেশ পাল এবং কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারকে তলব করা হয়নি তাঁদের গ্রেফতারও করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগেই অভিজিত্ সরকার তীব্র আর্তনাদের স্বরে ভেজা চোখে জানিয়েছিলেন,আমার বাড়ি, অফিস, এনজিও সব ভেঙে দিচ্ছে। এমনকি ৫ টা বাচ্চা সহ কুকুরকেও ছাড়া হয়নি। পিটিয়ে মেরে দিল, ওরা কি মানুষ। সেই চরম অত্যাচারের কথা ফেসবুক থেকে জানিয়েছিলেন অভিজিত্। এরপরেই স্বপন সমাদ্দার-পরেশ পালের নের্তৃত্বে নারকেল ডাঙা পুলিশের সামনে তার বাড়ি, অফিস, এনজিও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিজিত্। তিনি আরও বলেন,’ যে জিতুন রাজনৈতিক দিকথেকে আমার কোনও আপত্তি নেই। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফেলেছে, বলে ধ্বংসলীলা চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে।’ এদিকে তারপর রাতারাতি খুন হয়ে যান অভিজিত্।