বিধায়কের নামে চলে ‘হুমকি’, কাজই করতে পারছে না রামকৃষ্ণ মিশন!

0 0
Read Time:3 Minute, 24 Second

নিউজ ডেস্ক রামকৃষ্ণ মিশনের উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ব্লকের আসনদিঘী এলাকার ঘটনা। আসনদিঘী ও তার পারিপার্শ্বিক এলাকায় তফশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছে সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও তার অধীনস্থ ধান‍্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। আর সেই কাজেই বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল। তাঁর দাবি, এই অভিযোগ মিথ্যা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই ভাবে টাকা চেয়ে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে শাসক দলের নেতাদের নামও জড়িয়েছে। আর এবার সেই একই অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে।

একটি জলাশয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি স্থানীয় জমিতে পশুপালনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ শুরু করেছেন ধান্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। সেখানে তাঁদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে স্থানীয় তিন দুষ্কৃতী তাঁদের কাজে বাধা দিচ্ছেন। সন্ন্যাসী মণ্ডল, হাফিজুল (হ্যাপি), অশোক মণ্ডল নামে তিনজন লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

ধান্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডলের নাম ভাঙিয়ে তাঁরা গুণ্ডামি করছেন ও অন্যায়ভাবে টাকা চাইছেন। এমনকি দুষ্কৃতীরা স্থানীয় পাট্টাদারদের পুলিশি অত্যাচারের হুমকি দিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার বিধায়ক ঘনিষ্ঠদের নামে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান ড. সুজন বিশ্বাস।

অভিযোগ অস্বীকার করে কানাই চন্দ্র মণ্ডল জানান, কে বা কারা গিয়েছিল জানি না। তবে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষে আছেন। বিধায়কের দাবি, কেউ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে টাকা তোলেন, তাহলে তো মমতা দায়ী হবেন না। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগে যে তিনজনের নাম উঠে এসেছে তাঁরা প্রত্যেকেই রামকৃষ্ণ মিশনকে সহযোগিতা করছেন, তাই এই অভিযোগ মিথ্যা। তাঁর কথায়, অভিযোগ সত্যি হলে তদন্ত করে দেখুক প্রশাসন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!