একটি আসনের জন্য জোর লড়াই বিকেপির
নিউজ ডেস্ক গত দুই দশকে যেটা কোনও দিন দেখা যায়নি, তাই এবার হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। আগামী ১০ জুন রাজ্যসভার নির্বাচন। মহারাষ্ট্রে ৬ আসনের মধ্যে ৫টি আসনের ফলাফল নিশ্চিত। তবে, ষষ্ঠ আসনটির জন্য জোর লড়াই বিজেপি আর মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের মধ্যে। শিবসেনা, বিজেপি, কংগ্রেস, এনসিপি সকল দলই তাদের বিধায়কদের বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেল রিসর্টে রেখেছে। , অর্থ বা অন্য কোনও সুবিধার বিনিময়ে বিধায়কদের ভোট কেনা আটকাতে রাজনৈতিক দলগুলিকে এই পন্থা অবলম্বন করেছে পাঁচতারার বিলাস ভোগ কপালে জুটেছে নির্দল বিধায়ক এবং ছোট দলগুলির বিধায়কদেরও।
সোমবার রাতেই তাদের ৫৫ জন বিধায়ককে পশ্চিম মুম্বই শহরতলীর মালাদের এক রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৯ সালে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার গঠনের আগেও সেনা বিধায়কদের এই রিসর্টেই রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে আবার তাঁদের ট্রাইডেন্ট হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্দল বিধায়ক এবং ছোট দলগুলির সমর্থন আদায়ের জন্য সোমবারই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
আগাড়ি জোটের শরিক, কংগ্রেস দলের ৪৪জন বিধায়ক আবার উঠেছেন দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক পাঁচ তারা হোটেলে। দলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার ভোটের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। দলীয় সূত্রে খবর, তারাও দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোনও হোটেল খুঁজছে। এনসিপির হাতে রয়েছে ৫৪ জন বিধায়ক। তার মধ্যে নবাব মালিক এবং সঞ্জয় পওয়ার জেলে রয়েছেন। তাদের ভোটদানের সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে এনসিপি।
অন্যদিকে, নিজেদের ১০৫ জন বিধায়ককে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কাফে পারাড এলাকার এক পাঁচ তারা হোটেলে রেখেছে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্দল কয়েকজন বিধায়ক এবং ছোট দলের বিধায়কদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদেরকেও আলাদা পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপি তিনজন প্রার্থী দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, অনিল বোন্দে এবং ধনঞ্জয় মহাদিক। এনসিপি টিকিট দিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেলকে। কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন ইমরান প্রতাপগঢ়ি। শিবসেনা প্রার্থী করেছে সঞ্জয় রাউত এবং সঞ্জয় পওয়ারকে। শিবসেনার পক্ষ থেকে বিজেপিকে তৃতীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছিল। বিজেপি মানতে নারাজ।