শুভেন্দু মানসিক রোগী, রাহুলের চুল আঁচড়ায়”, কুনাল
নিউজ ডেস্ক আজ অর্থাৎ রবিবার কলকাতায় আসার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণিতে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় আটকায় পুলিস। বিরোধী দলনেতাকে কাঁথিতে ফিরে যেতে বলা হয়। দীর্ঘ বাদানুবাদের পর তাঁর গাড়ি ছাড়ে পুলিস। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে ওঠে। যা নিয়ে বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যর বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিনে শুভেন্দুকে এগোতে না দেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিল পুলিস। এরপরই রাধামণিতে গাড়িতে বসেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদারকে শুভেন্দু বলেন, আমাদের বিধায়ক অশোক দিন্দার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হাওড়া গ্রামীণ অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি রাধামণিতে। এখন কোলাঘাটে আমার গেস্ট হাউসে ওঠার কথা। কিন্তু এখানে ২০ কিলোমিটার আগে এখানকার অডিশনাল এসপির নেতৃত্বে প্রায় দুশো পুলিস আমাকে আটকে দিয়েছে। সোমবার আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতারা নাটক করছেন। একটা ধর্মীয় আবেগে আঘাত পড়েছে বা একাংশের রাজনীতিবিদ প্ররোচনা দিচ্ছেন। যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন ছবি তুলে খবরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন। এরা সব মানসিক রোগী। শুভেন্দু মানসিক রোগী। রাহুল সিনহা চুল আঁচড়ায় দেখুন, যেন যাত্রা পালার সখী। এরা এখন গোষ্ঠী রাজনীতি করছে।”
[12/06, 18:14] +91 90511 77823: নিজের মন্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী : শুভেন্দু
হাওড়ায় যারা অশান্তি করেছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না তিনি। মেয়ো রোডে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতার যুক্তি, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এসে বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী একা কেন কথা বলবেন। বলেছেন, এটা ধর্মীয় কারণে ঘটেছে। আলেম, উলামারা বলবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার অধিকার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর যদি কোমরের জোর থাকে তাহলে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে বরখাস্ত করে দেখান।
আজ অর্থাৎ রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণি থেকে অনেক কাটখড় পুড়িয়ে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপি কর্মীদের ধর্না মঞ্চে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই বিরোধী দলনেতা বলেন, “হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই ধারা আমি ভাঙব না বলে মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি। তবে ফ্লাইওবার থেকে গাড়ি থামিয়ে আমাদের পার্টি অফিসকে প্রণাম করে এসেছি। কারণ আমাদের কাছে আমাদের পার্টি অফিস মন্দির-সম।”
এদিন তিনি আরও বলেন, আগামিকাল আমরা আদালতে যাওয়ার পর আমরা ওই পার্ট অফিসে গিয়ে আমরা ঝাঁটা দিয়ে সাফ করব। জিহাদিদের যে চিহ্ন রয়েছে তা মুছে ফেলব। গঙ্গা জল ছিটিয়ে ওদের পাপ থেকে পার্টি অফিস মুক্ত করব। যজ্ঞও হবে। আমাদের পার্টি অফিস আমাদের মন্দির। যেভাবে অযোধ্যায় রামলালা ত্রিপলের নীচে থেকে উপরে উঠে গিয়েছেন।