Veteran Actor:জন্মদিনে জানুন মিঠুন চক্রবর্তীর সংঘর্ষের কাহিনী
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনের সংঘর্ষের গল্প যে কোনও বলিউডের সিনেমাকে হার মানাবে।
একাধিক ভাষায় ৩৫০টি সিনেমায় অভিনয় করা সেই বাঙালী অভিনেতার ৭১তম জন্মদিন আজ। তাঁর কেরিয়ারে তিনি অনেক কঠিন পথ পেরিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মিঠুন চক্রবর্তীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে উঠে এল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনের কাহিনী।
১৯৭৬ সালে আর্ট-ফিল্ম ‘মৃগয়া’র মাধ্যমে মিঠুনের অভিনয় কেরিয়ার শুরু হয় এবং এই সিনেমা তাঁকে সেরা অভিনেতার জন্য জাতীয় পুরস্কার জেতায়। মৃণাল সেনের এই ছবি সোভিয়েত ইউনিয়ানের হিট হয়েছিল, বক্স অফিসে ১০০ কোটির গণ্ডি পার করা প্রথম ভারতীয় ছবি ছিল ‘মৃগয়া’। তবে কেরিয়ার শুরুর আগেই আত্মহত্যার ভাবনা ঘিরে ধরেছিল মিঠুনকে।
২০১১ সালে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৫ বছর কাটিয়েছেন এবং বলেন, ‘আমি স্ট্রাগল নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাই না। কারণ প্রত্যেকের জীবনে একটা স্ট্রাগল থাকে, আমার এত বেশি যা অনেকের স্পিরিটটা ভেঙে দেবে। এইটুকুই বলব আমি কিন্তু ফুটপাথ থেকে উঠে এসেছি।’ এরপর অভিনেতা আরও বলেন, ‘মুম্বই শহরে আমি এমন অনেক রাত কাটিয়েছি যখন আমাকে কোনও গার্ডেনে খোলা আকাশের নীচে শুতে হয়েছে। আমার এক বন্ধু আমাকে মটুঙ্গা জিমখানায় এক মেম্বারশিপ করিয়ে দিয়েছিল, যাতে সেখানকার বাথরুমটা আমি ব্যবহার করতে পারি। সকালে সেখানে যেতাম, ফ্রেশ হতাম, এরপর পথে বেরিয়ে পড়া। জানি না কোথায় যাব, কী খাব? আজ কী হবে!’
মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘আমি তাঁদের স্পিরিট ভাঙতে চাই না যাঁরা নিজেরাও সংঘর্ষ করছেন। কিন্তু এমন সময় এসেছে যখন আমার মনে হয়েছে আমি পারব না। আমি ভেবেছি হয়ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। সেই ভাবনার পিছনে অনেক কারণ ছিল। আমি কলকাতা ফিরতে পারতাম না নিজের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জেরে, আমি অন্য কিছু করতে পারতাম না। আপনারা কখনই ভাববেন না কোনও লড়াই ছাড়া নিজের জীবন শেষ করে দেওয়াটা ঠিক। আমার মধ্যে ওই ভাবনা এসেছিল কারণ আমি হারতে শিখিনি, হার কী আমি জানতাম না, আমি খেলার মাঠেও কোনওদিন হারিনি।’