Punjab Election:মুখ্যমন্ত্রীর ঘাঁটিতে উপনির্বাচনে বড় হার!
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::প্রাক্তন আইপিএস। ১৯৮৪ সালে স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লুস্টারের প্রতিবাদ করে চাকরি ছেড়েছিলেন।
১৯৯৯ সালে তিনি সাংরুর থেকে জয়লাভ করেছিলেন। এছাড়া সংসদীয় রাজনীতিতে তিনি ছাপ ফেলতে পারেননি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আলমগড় বিধানসভা আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে বলা হচ্ছে অনেক আশা নিয়ে স্থানীয় মানুষজন আপ প্রার্থীদের জয়ী করেছিলেন। প্রসঙ্গত সাংরুর লোকসভার অধীন নটি বিধানসভা আসনেই আপ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। এই সাড়ে তিনমাসেই বিধায়কদের সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এছাড়াও দলীয় কর্মীরা স্থানীয় নেতৃত্বের ওপরে অসন্তুষ্ট।
জনপ্রিয় পঞ্জাবি গায়ক এবং কংগ্রেস নেতা মুসেওয়ালাকা গুলি করে হত্যা করা হয় ২৯ মে। আপ সরকার তাঁৎ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার কয়েকদিনের মধ্যেই হত্যার ঘটনা। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মুসেওয়ালার ভক্তরা হত্যার ঘটনায় সরকারকেই দায়ী করেছেন। অন্যদিকে মৃত্যুর আগে মুসেওয়ালা সিমরণজিৎসিং মানকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে সিমরণজিৎ সিং মান তৎকালীন অকালি-বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়েছেন। সেই সময় তাঁর সভাগুলিতে বেশ ভিড়ও হতো। পরবর্তী সময়ে তিন কৃষিআইন বিরোধী আন্দোলনেও
যোগ দিয়েছিলেন। তিনি। সেই লড়াই থেকেই তিনি কংগ্রেস, আপ, বিজেপির সঙ্গে লড়াই করে এবার জয়ী হলেন।
আপ সাংরুর থেকে এবার প্রার্থী করেছিল স্বল্প পরিচিত সরপঞ্চ গুরমেল সিংকে। স্বপ্ল পরিচিত হলেও তিনি বিধানসভা নির্বাচনের সময় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মানের অফিস পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তবে মুসেওয়ালার মৃত্যুর পরে সরকারি বিরোধী যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা গুরমেল সিংয়ের ছিল না। ফলে শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান কয়েকদিন সাংরুরে কাটালেও তিনি ভোটারদের মন জয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
এবার সাংরুরের উপনির্বাচন ছিল বহুমুখী। ৫ প্রার্থী ছিলেন। কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দলভীর গোন্ডি। বিজেপি প্রার্থী করেছিল শিল্পপতি কেওয়াল ধিঁলোকে। অকালি দল বাদলের প্রার্থী করেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিং হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বলবন্ত সিং রাজোয়ানার বোন কমলদীপ কৌরকে।