Sarada scam:হাইকোর্টের নির্দেশে মিলবে এবার টাকা?
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::হাই কোর্টের নির্দেশে সারদার মামলা পাঠানো হল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটির হাতে।
একইসঙ্গে সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য সরকার সহ যত সংস্থার কাছে সারদার টাকা ও সম্পত্তি আছে, সে সব টাকা তালুকদার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। যে সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার হাতে সেগুলিই ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তালুকদার কমিটি সেগুলি সেবির মাধ্যমে বিক্রি করবে। পরে ওই কমিটি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে।
এর আগে সারদা মামলায় ৫০০ কোটির তহবিল গড়ার ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, বিচারপতি শ্যামল সেন কমিশনের কাছে রাজ্য সরকার ২৮৭ কোটি দিয়েছিল আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। আমানতকারীদের আর এক আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে হাই কোর্টে জানিয়েছেন, ওই তহবিলে এখনও ১৪০ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে সেই তহবিলে। তাঁদের আবেদন, রাজ্য ওই টাকাও তালুকদার কমিটির হাতে দিক।
উল্লেখ্য, এই সারদা সংস্থায় বিশ্বাস করে টাকা রেখেছিলেন অনেকে। এজেন্টদের মাধ্যমে সেই টাকা তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মোটা ফেরত পাওয়ার কথা ভেবেই টাকা রেখেছিলেন তাঁরা। আর ২০১৩ সালে সামনে আসে সেই কেলেঙ্কারি। কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয় সংস্থার কর্তা সুদীপ্ত সেন ও আর এক কর্মী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে।
তবে বলে রাখা প্রয়োজন, সোমবারের এহেন নির্দেশে নতুন করে আশার আলো তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে।
এ দিকে, সুদীপ্ত সেন সম্প্রতি যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দিন কয়েক আগে, একটি মামলায় হাজিরা দেওয়াতে বিধাননগরের এমএলএ-এমপি আদালতে যান সুদীপ্ত ৷ সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিতেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করেছেন৷ সুদীপ্তর এই মন্তব্য প্রকাশ্য়ে আসতেই পথে নেমেছে শাসক দল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে তৃণমূলের তরফে৷ ইতিমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী’র গ্রেফতারের দাবিতে পথে নেমেছে তৃণমূল। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা। আর এর মধ্যেই হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ। যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।