জগন্নাথ দেবের পেটের ভিতর কি আছে জানেন? পুরনো মূর্তি বদলে নতুন মূর্তিতে এই জিনিসটি রাখা হয়, জানুন এই রহস্য

0 0
Read Time:4 Minute, 12 Second

নিউজ ডেস্কঃ প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও রথযাত্রার মহাউৎসব পালন হচ্ছে পুরিতে। ভগবান জগন্নাথ দেব হলো হিন্দু দেবতা। যার পুজো শুধু ভারতবর্ষ নয় গোটা বিশ্বে করা হয়। জগন্নাথ দেবকে বিষ্ণু দেবতার এক রূপ মানা হয়। এছাড়াও জগন্নাথ দেবের মধ্যে বিষ্ণু দেবের অন্য রূপের লক্ষণ দেখা যায়। জগন্নাথ দেবকে নিয়ে আরও অনেক রহস্যই আছে। জানেন কি জগন্নাথ দেবের পেটের ভিতর কি রয়েছে? যার রহস্য আজও জানা যায়নি।

জগন্নাথ দেবের মন্দিরে রয়েছে একাধিক অজানা কাহিনী। জানা যায়, প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর করে জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা, বলরাম দেবের কাঠের মূর্তি পাল্টানো হয়। ‘নব-কলেবর’ নামে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবতার পুরোনো মূর্তি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হয়। পুরোনো মূর্তি থেকে একটি জিনিস নতুন মূর্তিতে সঞ্চারিত হবে! – এটাই এখানকার পূজারীদের বিশ্বাস। আর এই মূর্তির পরিবর্তনের সময়গুলিতে সকলের প্রবেশ নিষেধ। কেউ চাইলেও ঢুকতে পারে না। ওখানকার পুরোহিতদের কাছে ব্যাপারটি এখনো অধরাই আছে। বাইরে থাকে কড়া নিরাপত্তা।

সম্প্রতি, জগন্নাথ, সুভদ্রা আর বলভদ্রের নতুন কাঠের মূর্তি তৈরী হয়েছে। বলা হয়, জগন্নাথ মন্দিরে ‘গর্ভগৃহ’ বা মূল কেন্দ্রস্থলে এই অতি গোপনীয় প্রথার সময়ে পুরোহিতদের চোখ আর হাত বাঁধা থাকে। যাতে পুরনো মূর্তি থেকে নতুন মূর্তিতে আনার সময় তারা কিছু দেখতে না পায়। এছাড়াও এই মূর্তি গুলি পরিবর্তন করার দায়িত্ব জগন্নাথ মন্দিরের সবথেকে বড় পূজারীকে দেওয়া হয়। পুরোহিত পুরনো মূর্তি থেকে কিছু জিনিস নতুন মূর্তিতে রেখে দেন। এই পরম্পরা মন্দিরের পরম্পরা থেকে চলে আসছে যা আজ পর্যন্ত চলছে। এছাড়াও জগন্নাথ দেবের সিংহ দরজার ভেতরে প্রবেশ করলে সমুদ্রের শব্দ আর শোনা যায় না।

জগন্নাথ দেবের মন্দিরে জগন্নাথ দেব তার দাদা বলভদ্র ও তার বোন সুভদ্রার সঙ্গে থাকেন।
পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রা পরিচালনা করেন পুরোহিতদের যে বংশ, নতুন বিগ্রহ তৈরী তাদেরই দায়িত্ব।

যে বছরের আষাঢ় মাস ‘মলমাস’ অর্থাৎ একই মাসে দুবার অমাবস্যা পড়ে, সেই বছরই জগন্নাথ, সুভদ্রা আর বলভদ্রের মূর্তি এবং সুদর্শন চক্র পরিবর্তন করতে হয়, বলেন মি. দ্বৈতাপতি। তিনি নাকি স্বপ্নে এটির আদেশ পান।

পুরীর একটা আলাদা ইতিহাস আছে হিন্দু ধর্ম মতে সাত প্রবিত্র নগরির পুরী একটা। প্রাচীন কালে ওড়িশার নাম উৎকল ছিল। যা সামুদ্রিক ব্যাবসা ও বানিজ্যর দিক থেকে গুরুত্বপুর্ন যায়গা ছিল। এছাড়া এই যায়গা কে পুরুষোত্তম ক্ষেত্র, নীলাঞ্চল, নীলগিরি ও জগন্নাথ পুরী হিসাবেও জানা যেত। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সবথকে দারুন ব্যাপারটা হলো এই যে অন্য মন্দিরগুলো তে যেখানে পাথরের মূর্তি স্থাপিত সেখানে জগন্নাথ মন্দিরে কাঠের মূর্তি স্থাপিত। 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!