ট্যাংরায় ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
নিউজ ডেস্কঃ প্রথমে হরিদেবপুর। তারপর রাজাবাজার। শেষে ট্যাংরা। ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল শহর কলকাতার বুকে। মৃতের নাম বান্টি হালদার৷ বয়স ৩৫ বছর।
যদিও কীভাবে ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ নিজের দোকান ঘরেই মধ্যেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দাবি মৃতের স্ত্রীয়ের। ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক লেনে রাস্তার পাশেই স্বামী-স্ত্রীতে মিলে একটি কচুরির দোকান চালাতেন বান্টি। মঙ্গলবার সকালেও দোকান খুলে খাবার তৈরি করছিলেন দুজনে।
স্ত্রীর দাবি, দোকানের সামনেই দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি-ই সিইএসসি-র। সেই সিইএসসি-র নতুন যে বৈদ্যুতিক খুঁটিটি বসানো হয়েছে, তাতে একটি ফিডার বক্স রয়েছে। সেই ফিডার বক্স বিদ্যুতের ঝলক দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি দোকান ছেড়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু বান্টি দোকান থেকে বেরতে পারেননি। ফিডার বক্স থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দোকানে। আর সেই আগুনেই মৃত্যু হয় বান্টি হালদারের।
কিন্তু প্রশাসন এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা দাবি, ফিডার বক্স থেকে আগুন ছড়ালে, সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হত। ফিডার বক্সের আশপাশে যে তার রয়েছে, তাও ক্ষতিগ্রস্ত হত। কিন্তু তেমনটা হয়নি। দোকানের ভিতর একটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। যাতে রান্না করা হচ্ছিল। সেই গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন কোনওভাবে বিদ্যুতের সংযোগে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানের পাখাটি সেইসময় চলছিল। সেই পাখার তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বান্টি হালদারের।