Suvendu Adhikary:মোদী জ্বালানির দাম কমালে মমতা কমান মদের দাম!
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে, পাশাপাশি অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
খড়্গপুরের গোমাতা পুজোর অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোপালী আশ্রমে এদিন গোমাতা পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। এই গোমাতা পুজোয় উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী । এছাড়াও ছিলেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী এদিন গোমাতাকে পুজোও করেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রীদের ডাকেন না। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা করতে এসেছিলেন। শীতল কপাট, হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও সংসদ দিলীপ ঘোষকে তারা ডাকেননি।
মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকার সময় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে এদিন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আয়নায় মুখ দেখতে বলুন। কাঁচের ঘরে বসে ঢিল মারতে নেই।
উনি যা যা করছেন, তার সবই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
মদ খেয়ে কয়েকজনের মারা যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সব মদের বোতল থেকে ভাইপো টাকা নেয়। যখন রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি মোদীজি কমিয়ে দেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৫ শতাংশ করে করে মদের রেট কমান। মদ খাইয়ে মানুষ মারার
অভিযোগও করেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা বলেন, দীপাবলির আগের দিন মোদীজি কেন্দ্রের তরফ পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা কমিয়েছিলেন। পরে আবার সাড়ে ন টাকা ও সাত টাকা কমিয়েছেন। এবং উজ্জ্বলা এক ও দুইতে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দিয়েছেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসে এক টাকা না কমিয়ে মদের দাম ৩৫ শতাংশ কমিয়েছেন। ২০২১ এর দীপাবলির আগে যে বিদেশি মদ পাওয়া যেত সাড়ে আটশো টাকায় সেটা এখন পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে পাঁচশো টাকায়। তিনি মেহুল নাম দিয়ে একটা দেশি মদ এনেছেন। তার দাম ২৮ টাকা। তিনি ৫০০ টাকা মহিলাদের দিচ্ছেন। তার স্বামীকে আর ছেলেকে বলছে ওটা মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে আয়। ডেইলি ২৮ টাকা করে একটা মদ খা। মাকে টাকা দিচ্ছে, বউকে টাকা দিচ্ছে আর সেই টাকাটা মদের দোকানে চলে যাচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, সরকার মদের ব্যবসা খুলেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে। প্রতিটা মদের বোতল থেকে ভাইপো দেড় টাকা করে কমিশন নেয়। আইএফবি বলে একটা সংস্থা সেবিকে জানিয়েছে, চল্লিশ কোটি টাকা এক বছরে ইলেক্টোরাল বন্ডে, এসবিআই এর মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিকে দিয়েছে। আইএফবি কারখানা আছে তারা সেবিকে লিখিত জানিয়েছে। ৪০ কোটি টাকা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ফান্ডে।