Puja:বড় পুজো কমিটিদের চ্যালেঞ্জ মদন মিত্রর
নিউজ ডেস্ক::তাঁদের দুয়ারের মাটি ছাড়া দেবী দুর্গার গায়ে মাটি পড়ে না। অথচ তাঁদের দুর্গাপুজো করতে গেলে আজও বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। সব সমস্যা পেরিয়ে এবার ১০ বছরে পড়ল দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির দুর্গা পূজা। তারই খুঁটি পুজো হয়ে গেল আজকে। ছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। বললেন সেখানে গিয়ে তিনি অঞ্জলি দিয়ে যাবেন। দায়িত্ব দিয়ে গেলেন যে এই বছর এমন পুজো সোনাগাছিকে করতে হবে যাতে বাগবাজার, কুমোরটুলি, হাতিবাগানের মতোই মানুষ এই বছরে এখানেও মানুষ ঠাকুর দেখতে আসেন।
এদিন সকাল থেকেই সাজ সাজ রব ছিল দুর্বার মহিলা সমিতির অফিসের সামনে। বেলা বাড়তেই শুরু হয় ঢাকের বাজনা। যৌনপল্লীর কর্মীদের মনে আরও একবার বাজতে শুরু করে বল দুর্গা মাইকি বোল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে এসে হাজির হন বিধায়ক মদন মিত্র। সঙ্গে ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর। তার আগেই অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল খুঁটি পুজো। মদন মিত্র এই পুজোর সভাপতি।
ঢাক বাজিয়ে এবং দুর্গা বন্দনায় শেষ হয় খুঁটি পুজো। এরপরে এলাকার মানুষদের মধ্যে বর্ষার জন্য ছাতা বিতরণ করা হয়। বক্তব্য রাখেন এলাকার কাউন্সিলর। তারপরে বক্তব্য রাখেন বড়তলা থানার ওসি। তিনি কথা বলেন এলাকার ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে। তিনি বলেন যে, “আমরা সবসময়েই আছি দুর্বারের পাশে। ছোট থেকে ছোট সমস্যা আমাদের শুধু একবার ফোন করবেন আমরা এখানে এসে হাজির হব। আর এসেও থাকি। তবে যেটা বলার বিষয় সেটা হল আপনাদের সতর্ক হতে হবে। সবাই একসঙ্গে হাত বেঁধে কাজ করলে কারও ক্ষমতা নেই কিছু করার। তবেই এটা পুরোপুরি বন্ধ হবে। তার পাশে আমরা তো আছি, প্রশাসন আছে। চালের মধ্যে থাকে পোকা, চিনিতে পিঁপড়ে থাকে। সেভাবেই আমাদের লড়াইটা লড়তে হবে। আর যদি দুর্গাপুজোর কথা বলা হয় তাহলে বলব যে আমি আগে এখানে কোনওদিন আসিনি, কিন্তু এই বছর এখানকার সমস্ত দায়িত্ব আমার। আমি বলে যাচ্ছি পুজোয় কেউ বাধা দিতে পারবে না। আপনারা বরং এই অঙ্গিকার নিন যে এই বছর পুজোর থিম হবে ‘মা’। তাঁকে নিয়েই একটা দারুণ থিম করুন। আমরা সঙ্গে আছি।
এরপরেই মদন মিত্র বলেন , ‘আমরা জানি এই এলাকায় কী সমস্যা ছিল আগে। সিপিএমের সময় এখানে মেয়েদের গায়ে সিগারেটের ছেঁকা দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটত। আমি তখন একবার এই এলাকা থেকে নির্বাচনে লড়েছিলাম। জানি কি ছিল এই জায়গা। তার থেকে এখন অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে সোনাগাছি। ছিনতাই কমেছে। সেটা পুরো নির্মূল করার চেষ্টা করছি আর এবারের পুজো সোনাগাছিকে এমন পুজো করতে হবে যে যেন সবাই শুনেই বড় বড় পুজোর মতো এখানেও ঠাকুর দেখতে আসে। এটা আমি দায়িত্ব দিয়ে গেলাম এলাকার কাউন্সিলরকে। আমি নিজে এসে এখানে অঞ্জলি দিয়ে যাব।”