ICCU-তে ভর্তি করা হলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই
নিউজ ডেস্ক::এসএসকেএমে হাসপাতালে ভর্তি করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে সোজা তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হুইল চেয়ারে বসে হাসপাতালে পৌঁছন মন্ত্রী। জানা যাচ্ছে পরিস্থিতি দেখে এসএসকেএমের ICCU-তে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল তৃণমূল মহাসচিবের শারীরিক পরীক্ষা করছেন বলে জানা যাচ্ছে।
তবে পরিস্থিতি যা তাতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই বোর্ডে কারা কারা থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সরজ মন্ডল ছাড়াও এন্ডক্রিনোলজিস্ট শুভঙ্কর চৌধুরী, নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী’র মতো চিকিৎসকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষা করছেন বলেই খবর।
জানা যাচ্ছে, পার্থবাবু ‘র বুকে ব্যাথা রয়েছে। এছাড়াও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণও বেশি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য নিয়ে একটা উদ্বেগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে গ্রেফতারের পরেই ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এসএসকেএমে একটি বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই দাবি এসএসকেএমের।
শনিবার শিক্ষক দুর্নীতি মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় সেখানে দুদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়ছে। কিন্তু দু’দিনভর দীর্ঘ টালবাহানায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ইডি হেফাজতে না পাঠিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার অনুমতি দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। পাল্টা আবেদন করা হয়েছে ইডির পক্ষে।
ইডির তরফে আবেদন করা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমে না পাঠিয়ে জোকার ইএসআই বা কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে। যদিও শেষমেশ এসএসকেএম হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়ছে তৃণমূল মহাসচিবকে। সেখানেই আপাতত দুদিন চিকিৎসাধীন থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে ইডি’র জেরা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আপাতত তাহলে কি জেরা পর্ব হবে না? বিষয়টি দেখছেন ইডির তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে ইডি।
শুক্রবার রাতে তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে ২০ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করা হয়ছে। রাতভর সেই টাকা গোনা হয়। আর এরপর বিকেলে সেই টাকা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ইডির তরফে। আর এরপরেই ফ্ল্যাট থেকে বার করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে সোজাসুজি নিয়ে চলে যাওয়া হয় ইএসআই হস =পিটালে। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে জরুরি বিভাগে সব রকম পরীক্ষা করা হয়। আর এরপর থেকে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। আগামীকাল রবিবার রপিতা আদালতে তোলা হবে বলে খবর।