রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান!
নিউজ ডেস্ক::বর্ষাকালীন অধিবেশনের (Monsoon Session) নবম দিনেও উত্তপ্তই রইল দুইকক্ষের অধিবেশন।
এদিন রাজ্যসভার তিনজন সাংসদকে তাদের আচরণের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে অসম্মানের অভিযোগ ওঠে। যদিও এব্যাপারে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবেন।
এদিন রাজ্যসভায় হইহট্টগোলের অভিযোগে আরও তিন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন আপের সুশীল কুমার গুপ্তা, সঞ্জীহ পাঠক এবং নির্দলীয় অজিতকুমার ভুঁইয়া। তাঁরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজ্যসভায় ছিলেন। এই তিনজনকে নিয়ে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ডহওয়া সাংসদের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। এছাড়াও লোকসভা থেকে ৪ কংগ্রেস সাংসদকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এদিন বারে বারে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশনে ব্যাঘাত ঘটে। বিকেলে উভয় কক্ষের অধিবেশন শুক্রবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এর আগে রাজ্যসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভুবনেশ্বরকলিতা তিন সাংসদে সাসপেন্ড করে বিকেল চারটে পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। তারপরেই বিকেল চারটেয় ফের সভা বসলে হইহট্টগোলের জেরে অধিবেশন দিলের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী তাঁর রাষ্ট্রপতি মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সময় চেয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী শনিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর দেখা হতে পারে। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় অধীর চৌধুরী বলেছিলেন তিনি কোনও ভণ্ডদের কাছে নয়, রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন।
অধীর চৌধুরী বলেছেন, তাঁদের নেত্রীকে যেন টার্গেট করা না হয়, তিনি একজন মহিলা। অধীর চৌধুরী বারে বারে বলেছেন একটা ভুল হয়েছে। তিনি বাঙালি। তার হিন্দি তেমন ভাল নয়। সেই কারণে বিষয়টি তাঁকে যেন ব্যাখ্যা করতে দেওয়া হয়।
যদিও বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি সংসদের বাইরে সারা দেশে নিয়ে যাবেন।
এদিন কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদরা দেখা করবেন অধ্যক্ষের সঙ্গে। সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে বিতর্কের সময় বিজেপি সাংসদ এবং মন্ত্রীরা খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেস সাংসদদের। কংগ্রেস সাংসদদের অভিযোগলোকসভার ভিতরে তাদের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর প্রতি লজ্জানজক আচরণের পাশাপাশি আপত্তিকর স্লোগান তোলা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী এদিন লোকসভায় সোনিয়া গান্ধী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়। দুপুর ১২ টায় লোকসভা মুলতুবি হওয়ার পরে সোনিয়া গিয়েছিলেন বিজেপির রমা দেবীর কাছে। সেখানে যান স্মৃতি ইরানি।সেই সময় উত্তেজিত সোনিয়া গান্ধী বলেন তাঁর সঙ্গে যেন তিনি (স্মৃতি) কথা না বলেন।