ভাঙছেন অর্পিতা, ইডির জেরায় ‘অবিচল’ পার্থ
নিউজ ডেস্ক::টানা জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে শুক্রবার জোকা ইএসআইতে (ESI) সাংবাদিকদের কাছে পেয়েছিলেন।
সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন, ষড়যন্ত্রের স্বীকার। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ সঠিক বলেই মন্তব্য করেছিলেন দীর্ঘ সময় থেকে তৃণমূলে কার্যত দুনম্বরে থাকা এই নেতা। অন্যদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Apita Mukherjee) কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, রাতে জেরার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়লেও, কার্যত অবিচল রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ।
শুক্রবার দুপুরে জোকার ইএসআই হাসপাতালে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যে ছবি চোখে পড়েছিল তার খুব একটা কিছু পরিবর্তন হয়নি রাতে। এমনটাই খবর ইডির সূত্রে। জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় রাতেও কান্নায় ভেঙেপড়েছেন অর্পিতা। চোখে জল দেখা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। দুজনেই বারে বারে দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দোষ এবং তাঁরা ষড়যন্ত্রের স্বীকার। রাতের খাবারের প্রতিও তাঁদের আগ্রহ বিশেষ ছিল না বললেই চলে। ইডি সূত্রে খবর,
আধিকারিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বয়ান ধরে যড়যন্ত্রকারীদের নাম জানার চেষ্টা করছেন। উদ্ধার হওয়া সম্পত্তিরা তালিকা ধরে ধরে উভয়কে প্রশ্ন করা হচ্ছে। টাকার উৎসও জানার চেষ্টা করছেন তজন্তকারীরা।
অর্পিতা-পার্থ, কারও চোখে রাতে ঘুম নেই বললেই চলে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, মানসিক উদ্বেগের কারণেই এই পরিস্থিতি। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় মুখ খোলার কারণেই, কলকাতার বাকি ফ্ল্যাটগুলোর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
অর্পিতাকে শান্ত করতে রাতে ঘুমের ইঞ্জেকশন পর্যন্ত দিতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে অর্পিতা যেভাবে ভাঙছেন তাতে তদন্তকারীরা তদন্তের গতিপ্রতৃতি নিয়ে আশাবাদী।
ইডি সূত্রে খবর, শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ তেমনভাবে খোলানো যায়নি। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে রাজ্যের প্রাক্তন দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রী কিছু কথা বলছেন। মূলত মন্ত্রিসভা ও দল থেকে সাসপেনশনের পরেই এই পরিবর্তন খুব সামান্যই। পোড় খাওয়া রাজনীতিক বারে বারে ইডির ধাক্কাতেও অবিচল। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তুলনায় মানসিকভাবে অনেকটাই স্থিতিশীল বলেই সূত্রের খবর।
প্রথমে অসুস্থতার কথা বলা হলেও, তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাতে খানিকটা অবাক চিকিৎসক থেকে ইডির আধিকারিক, সবাই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে আরও ভুয়ো কোম্পানির হদিশ পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত ছটি ভুয়ো কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে ইডির তরফে আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া কথা জানিয়েছে।