রবিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে মমতা!
নিউজ ডেস্ক::পাঁচ দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী তিন তারিখ অর্থাৎ রবিবার বিকেলে তাঁর রাজধানী পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দিল্লি সফর বলে জানা যাচ্ছে।
তবে পাঁচদিনের সফরে তাঁর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ইতিমধ্যে তৃণমূল-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য-রাজনীতি। বিশেষ করে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তো অবশ্যই।
আগামী ৭ অগস্ট নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে। যেখানে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের ওই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ফলে নীতি আয়োগের ওই বৈঠকের মাঝেই মোদী-মমতা সাক্ষাত্র সম্ভাবনা ঘিরে শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা। তবে আলাদা করেই প্রধানমন্ত্রীর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইতে পারেন বলে খবর। আর তা পাঁচ কিংবা ছয় তারিখ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
অবসর নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিপুল ভোটে জিতে এসে নয়া রাষ্ট্রপতি হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেয়েছে দেশ। যদিও এবার রাষ্ট্রপতি পদে আলাদা প্রার্থী দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিরোধীরা। তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু হেরে যান। তবে প্রক্রিয়া চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। আগে জানালে দ্রোপদী মুর্মুকে সমর্থনের ইঙ্গিত দেন মমতা। তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে দ্রৌপদী মুর্মু’র সঙ্গে দেখা করার কথা আছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে গোটা দেশের নজর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি। এবং তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। এই ঘটনায় একেবারে কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের। আর এই অবস্থায় মোদী-মমতা সাক্ষাৎ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যে বিজেপি তৃণমূল আঁতাতের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের সমর্থন করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগে সরব বাম-কংগ্রেস। পার্থের গ্রেফতারের মধ্যেই দিল্লি সফরে বিরোধীরা ‘সেটিং’ বলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন।