দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতা
নিউজ ডেস্ক ::১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। জার্মানির নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তির জাপান আত্মসমর্পণ করে। ওই বছর জাপানের সম্রাট হিরোহিতো রেডিওতে দেওয়া এক বক্তৃতার মাধ্যমে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের কথা জানান। মাউন্টব্যাটেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে বসে শুনেছিলেন ওই ঘোষণা। দিনটির কথা বেশ মনে আছে মাউন্টব্যাটেনের। সেদিন ছিল ১৫ আগস্ট! মাউন্টব্যাটেন ছিলেন তখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান সেনাপতি। কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন যে মাউন্টব্যাটেন ১৫ অগাস্ট তারিখটিকে শুভ বলে বিবেচনা করেছিলেন, এই জন্যেই তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য ওই তারিখটি বেছে নিয়েছিলে।
১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাপানের সম্রাট হিরোহিতো একটি রেকর্ডের রেডিও ভাষণ দেন যা পরে জুয়েল ভয়েস ব্রডকাস্ট নামে পরিচিত হয়। সেই রেডিও ভাষণে তিনি মিত্রশক্তির কাছে জাপানের আত্মসমর্পণের কথা ঘোষণা করেন। মাউন্টব্যাটেন স্মরণ করতে পেরেছিলেন যে তিনি সে ভাষণ শুনেছিলেন চার্চিলের ঘরে বসে এবং মিত্রশক্তির সুপ্রিম কম্যান্ডার হিসেবে জাপানের আত্মসমর্পণের নথিতে ১৯৪৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরও করেছিলেন।
১৯৪৭ সালের ৪ জুলাই ব্রিটিশ হাউস অফ কমন্সে ভারতীয় স্বাধীনতা বিল পেশ করা হয়। এই বিলে ভারত ভাগ ও পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব ছিল। বিলটি ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই গৃহীত হয় এবং ১৪ অগাস্ট দেশ ভাগের পর ১৪-১৫ অগাস্ট মধ্যরাতে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল।
মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অংশ নেননি। কেননা ভারত যখন স্বাধীনতা পায়, তখন মহাত্মা গান্ধী বাংলার নোয়াখালিতে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে উপবাস করছিলেন।