বার্মিংহ্যামে লং জাম্পে গড়ল ইতিহাস
নিউজ ডেস্কঃ মূল ফটকে অলিম্পিকের পাঁচটি রিং। বাড়িতে ঢোকার মুহূর্তে নজরে পড়তে বাধ্য। বাড়ির সমস্ত দেওয়ালে অলিম্পিকের নানা মুহূর্ত। ছোট বেলা থেকে এমন একটা পরিবেশ। আরও কিছু জানতে ইচ্ছে করছে? মুরলি শ্রীশঙ্কর বার্মিংহ্যাম গেমসে লং জাম্পে রুপো জিতেছেন। কয়েকটা ঘণ্টা পেরিয়েছে মাত্র। তাঁর ছোটবেলার ছোট্ট ছোট্ট কাহিনি গুলো বায়োপিকের অংশ হতেই পারে।
মুরলি শ্রীশঙ্করের ছোট্টবেলার কোচ তাঁর বাবা এস মুরলি। তিনি নিজে ট্রিপল জাম্প অ্যাথলিট ছিলেন। সাউথ এশিয়ান গেমসে রুপোর পদকজয়ী অ্যাথলিট। শ্রীশঙ্করের বয়স সবে ৪ বছর। বাবার পিছু নিতেন। এক সঙ্গে অনুশীলন করতেন। ছোট্ট শ্রীশঙ্করের মধ্যে ভবিষ্যতের স্প্রিন্টার আবিষ্কার করেছিলেন বাবা এস মুরলি। অনূর্ধ্ব ১০ স্তরে ৫০ এবং ১০০ মিটারে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হন শ্রীশঙ্কর। কিন্তু ১৩ বছর বয়সে লং জাম্পে মনোনিবেশ করেন শ্রীশঙ্কর। বাড়িতে কত আসবাব ভেঙেছে, তার ইয়ত্তা নেই। সোফা, টেবল, বিছানা সব জায়গাতেই লাফিয়ে বেরাতেন।
উল্লেখ্য, শ্রীশঙ্করের মা কে এস বিজিমোলও সফল ক্রীড়াবিদ। ১৯৯২ এশিয়ান জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটারে রুপো পেয়েছিলেন। শ্রীশঙ্করের বোন শ্রীপার্বতী হেপ্টাথলন অ্যাথলিট। কিংবদন্তি ভারতীয় অ্যাথলিট শাইনি উইলসনের সঙ্গে অনুশীলন করতেন শ্রীশঙ্করের মা বিজিমোল। শাইনি উইলসন ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক থেকে উসেইন বোল্টের জার্সি এনেছিলেন। এমন উপহার পেয়ে হাতছাড়া করতে চাননি ৯ বছরের ছোট্ট শ্রীশঙ্কর। সে ঘুমিয়ে পড়লে, যদি কোনওভাবে তা হাত ছাড়া হয়ে যায়! সেই ঝুঁকি নেয়নি শ্রীশঙ্কর। বেশ কয়েকমাস সেই জার্সি পরেই ঘুমিয়েছেন। শ্রীশঙ্করের আরও একটা প্রেম আছে। বাস্কেটবল। কিংবা বলা ভালো কিংবদন্তি কোবে ব্রায়ান্ট। প্রস্তুতিতে প্রয়াত কিংবদন্তি ব্রায়ান্টের মানসিকতা নিয়েই অনুশীলন করেন শ্রীশঙ্কর।