ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর জীবনী দেখুন

0 0
Read Time:3 Minute, 3 Second

নিউজ ডেস্কঃ রামনাথ কোবিন্দের মতো দ্রৌপদী মুর্মু খুব সাধারণ জীবন কাটিয়ে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। ওড়িশায় জন্ম নেওয়া দ্রৌপদী এর আগে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। নিজের কর্ম জীবন তিনি অবশ্য শুরু করেছিলেন সরকারি কর্মী হিসেবে। প্রথমে ওড়িশার রাজ্য সরকারের ক্লাস-৩ কর্মী পরে স্কুল শিক্ষিকা হয়েছিলেন তিনি। সব ঠিক থাকলে তিনি ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। রাজনৈতিক ভাবে সফল দ্রৌপদীর ব্যক্তিগত জীবনে বেদনার অন্ত নেই।

এছাড়াও কাউন্সিলর থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী পরবর্তীতে রাজ্যপাল হয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি অত্যন্ত সফল হলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল দুঃখজনক। তিনি তাঁর স্বামী শ্যাম চরণ মুর্মুকে হারিয়েছেন। তাঁর দুই ছেলেও ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। তাঁর একমাত্র মেয়ে ইতিশ্রী মুর্মু এখন একটি ব্যাঙ্কে অফিসার হিসেবে কর্মরত। ৬৪ বছর বয়সি নেত্রী সাওঁতাল উপজাতির। তাঁর বাবা ও দাদু দুইজনেই গ্রাম প্রধান ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টার সাম্মানিক শিক্ষক ছিলেন। এরপর কাউন্সিলর হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন দ্রৌপদী। পরবর্তীতে রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন। পরে রায়রংপুর বিধানসভা থেকে দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বিজু জনতা দল তথা নবীন পট্টনায়েকের সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন আদিবাসী নেত্রী।

বর্তমানে অর্থাৎ ২০২২ সালে তিনি ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!