৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস স্মরণে রাখতে ইসরোর নেতৃত্বে ৭৫০ জন ছাত্রী তৈরি করলেন স্যাটেলাইট
নিউজ ডেস্ক::ভারত ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে প্রস্তুত। দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ইসরোর নেতৃত্বের সারা ভারতের ৭৫০ ছাত্রী আজাদি স্যাট (AzadiSat) নামের একটি স্যাটেলাইট তৈরি করেছে। আগামী ৭ আগস্ট আজাদি স্যাট স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা এসএসএলভি-তে তাদের প্রথম যাত্রা শুরু করবে। ‘আজাদি কা অমৃত মহৎসব’-এর অংশ আজাদি স্যাট। ছাত্রীদের তৈরি স্যাটেলাইটটি শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে।
আজাদি স্যাট আদতে একটি স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটটি বিজ্ঞানীরা তৈরি করেনি। সারা ভারতের ৭৫০ জন ছাত্রী এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও স্যাটেলাইট মহিলারা তৈরি করলেন। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়াংরিং ও অঙ্ক (এসটিইএম)-এর ওপর ভিত্তি করেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে ভারতের বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের ছাত্রীরা এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
আজাদি স্যাট স্যাটেলাইটে ৮ কেজির একটি কিউবস্যাট ৭৫টি পেলোড বহন করেছে। প্রতিটি পেলোডের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম। প্রথমে স্পেস কিডস ইন্ডিয়া নামের সংস্থাটি সারা ভারত থেকে আগ্রহী ছাত্রীদের একত্রিত করে। এরপরে ইসরো ওই ছাত্রীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের পর পেলোড তৈরির নির্দেশ দেয়। এই পেলোডগুলিতে ইউএইচএফ-ভিএইচএফ (UHF-VHF) ট্রান্সপোডার রয়েছে। এটি হ্যাম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে যা রেডিও অপারেটরদের কাছে ভয়েস এবং বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে সাহায্য করে। এই পলোডগুলিতে সেলফি ক্যামেরাও রয়েছে। আজাদি স্যাটে কঠিন আকারে পিআইএন ডায়োট ভিত্তিক একটি রেডিয়েশন কাউন্টার রয়েছে। এটি মূলত কক্ষপথে আইনজিং রেডিয়েশন পরিমাপ করতে সাহায্য করে। এই স্যাটেলাইটে একটি দীর্ঘ পাল্লার ট্রান্সপোডারও রয়েছে। এই পেলোডগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি গ্রাউন্ড সিস্টেম তৈরি করা হয়ছে।
এই স্যাটেলাইটগুলো এসএসএলভি-তে যাত্রা করবে। ছাত্রীদের তৈরি পেলোডগুলো আকার ও ওজনে ছোট। সেই কারণেই কক্ষপথে প্রতিস্থাপনের জন্য এসএসএভিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ইসরো জানিয়েছে, এসএসএলভি কম সময়ে একাধিক স্যাটেলিটাইটকে কক্ষপথে স্থাপন করতে সম্ভব। এসএসএলভির মাধ্যমে কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য নূন্যতম পরিকাঠামো প্রয়োজন। ছাত্রীদের তৈরি এই পেলোড আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মূলত ভৌগলিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। এই স্যাটেলাইট জল বিষয়ক একাধিক তথ্য দিতে সক্ষম হবে।