উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন বাপ ও বেটা
নিউজ ডেস্ক ::উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শিশির অধিকারী ও তার পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী।
বিভিন্ন সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ভোটদান থেকে বিরতি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে শিশির- দিব্যেন্দুকে ভোটদান থেকে বিরত থাকার কথা জানান।
সূত্রের খবর, তবুও ভোট দিলেন দুজনেই। যা নিয়ে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যদিও ভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করনেনি কাঁথি ও তমলুকের ওই দুই সাংসদ।
একুশে জুলাই সাংবাদিক সম্মেলন করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার কথা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে-সময় জগদীপ ধনকড়কে ভোট দেওয়ার প্রশ্নই আসে না এবং বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে নিয়ে সমস্যা না থাকলেও প্রার্থী ঘোষণার পদ্ধতি নিয়ে আপত্তির কথা জানায় তৃণমূল। তারা ৬ আগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে।প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর বিজেপির মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তার বাবা শিশির অধিকারীকে। অঘোষিত ভাবে হলেও অনেকেই মানছেন শুভেন্দুর বাবা ও তার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হওয়া স্বত্তেও পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেউ-ই। এনিয়ে বারবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। পিতা-পুত্রের সাংসদ পদ বাতিলের কথা তোলা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। জল-ঘোলার মধ্যেই আলোচনায় বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ‘শিশির-দিব্যেন্দু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন কিনা’ এই প্রশ্ন। তৃণমূলের সংসদীয় দল থেকে দু’জনকেই চিঠি দিয়ে ভোটদান থেকে বিরত থাকার কথা জানানো হয়। তবে সূত্রের দাবি, দলীয় সিদ্ধান্তকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোট দিলেন শিশির-দিব্যেন্দু।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলীয় নির্দেশকে আমল না দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়াতে ফের সরব হবেন তৃণমূলের একাংশ। ফের দুজনের সাংসদ পদ বাতিলের দাবি উঠতে পারে দলীয় বৈঠকে।