‘তৃণমূলের সবাই চোর’

0 0
Read Time:4 Minute, 0 Second

নিউজ ডেস্ক ::সারদা-নারদকাণ্ডে চুরির অভিযোগ পুরনো হয়েছে, হালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক দুর্নীতি-কাণ্ডে ধরা পড়তেই বিজেপি ফের আওয়াজ তুলেছে- ‘তৃণমূলের সবাই চোর’!

এমনই এক ঘটনায় নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটে গেল হুগলির চুঁচুড়ায় খাদিনা মোড়ে। বিজেপির মুখে ‘চোর’ স্লোগান শুনে ক্ষিপ্ত বিধায়ক লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেলেন। লাঠিপেটা করে ভাগালেন বিজেপি-কর্মীদের।

চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল চলছিল। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার যখন সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন একদল বিজেপিকর্মী মিছিল থেকে আওয়াজ তোলেন- ‘অসিত মজুমদার চোর, পিসি চোর-ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর!’ তা শুনেই ক্ষেপে লাল বিধায়ক। লাঠি উঁচিয়ে তিনি তে়ড়ে গেলেন বিজেপি কর্মীদের। লাঠিপেটাও করলেন। তা নিয়ে রণক্ষেত্র চুঁচুড়া।

বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে এদিন। যেখানে বিধায়ককে দেখা যায় রণং দেহি মূর্তিতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। তখন তৃণমূল বিধায়ক বাড়ি ফিরছিলেন। বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিধায়কের নাম করেই চোর স্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি। মিছিলের সামনে একটি অটোয় করে বিজেপি কর্মীরা মাইক নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। ‘অসিত মজুমদার চোর, পিসি চোর-ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর!’

তৃণমূলের সবাইকে চোর বলতেই রেগে আগুন হয়ে যান বিধায়ক অসিত মজুমদার। গাড়ি থেকে নেমে ফ্ল্যাগের লাঠি তুলে নিয়ে মারমুখী মেজাজে তাড়া করেন বিজেপিকর্মীদের। এই উত্তেজনা শুনেই খাদিনা মোড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে মহিলারা ছুটে আসেন। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁরাও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।

এই ঘটনার পর বিধায়ক অসিত মজুমদার মারধরের ঘটনা অর্থাৎ লাঠিপেটা করার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপির একটা মিছিল যাচ্ছিল। তার গাড়িটা একটু এগিয়ে যেতেই বিজেপির ছেলেরা গাড়ি আটকায়। দলের নেতানেত্রী এবং তাঁকে উদ্দেশেয করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে বিজেপিকর্মীরা। খবর পেয়ে তৃণমূলের মহিলাকর্মীরা প্রতিবাদে গর্জে উঠতেই পালিয়ে যায় বিজেপির ছেলেরা।

এই ঘটনায় বিজেপি পাল্টা অভিযোগ করে, তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তা না হলে বিধায়ক লাঠি হাতে বিরোধীদের উপর চড়াও হয়। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অসিতদা দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। তিনিও মাথাগরম করে লাঠি তুলে নিচ্ছেন হাতে। এতেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের দিন শেষ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!