ফের নতুন এক বিল
নিউজ ডেস্ক::বেসরকারি সংস্থাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের মাশুলে বদল আনা হচ্ছে। এই বিলে বিদ্যুৎমাশুলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমারেখা থাকছে।
আজ লোকসভায় পেশ হতে চলেছে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল। এই বিলের মাধ্যমে একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ টেলিকম সংস্থার মতো একাধিক সংস্থা এবার থেকে বিদ্যুতের সংযোগ দেবে। তার মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকরা l
বেসরকারি সংস্থাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের মাশুলে বদল আনা হচ্ছে। এই বিলে বিদ্যুৎমাশুলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমারেখা থাকছে। অর্থাৎ গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ সংস্থা দুই পক্ষেরই স্বার্থ যাতে অক্ষুন্ন থাকে তার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের। তবে বিদ্যুৎ বিলের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সরব অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারস ফেডারেশন। সরাসরি বিলটি লোকসভায় না এনে আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছে তারা।
পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ফেডারেশনের দাবি, বিলটি পেশ করার আগে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তাদের দাবি, এই বিলটি আনা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তারা যে দীর্ঘদিনের আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে, তার অন্যতম শর্ত ছিল বিদ্যুৎ বিল না আনা। ফলে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ দেশের কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিযোগ করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। বিলটি আনা হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এই বিল সংসদ আনা হলে ধর্মঘটে সামিল হবেন বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ২৭ লক্ষ কর্মচারি এবং ইঞ্জিনিয়ার। সারা ভারত ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন বা এআইপিইএফ-এর তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মচারীদের সংগঠনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তাড়াহুড়ো করে বাদল অধিবেশনে এই বিলটি সংসদে আনা উচিত হবে না। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। বিশেষ করে গ্রাহক এবং কর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করা উচিৎ।’