বিস্ফোরক মন্তব্য অরুণাভর
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী । রাজ্যের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। হাইকোর্টের নির্দেশেই মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে অঙ্কিতার জায়গায় শিক্ষকতার কাজ পেয়েছেন ববিতা সরকার। সাক্ষাৎকারে আদালতের নির্দেশ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ । একইসঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে বিরোধী নেতাদের ভূমিকা নিয়েও তুললেন প্রশ্ন।
অরুণাভ বলেন, “আমরা যারা বিরোধী রাজনীতি করি তাঁরাও তো চাকরি প্রার্থীদের কোনও না কোনওভাবে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছি। ধরনা মঞ্চে গিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছি। ২ দিনের মধ্যে যদি মমতা পদত্যাগ করেন আমি ২৭ হাজার চাকরি দিয়ে দেব, একজন বড় আইনজীবী এ কথা বলছেন। নাম বলছিনা। এটা কী মিথ্যা কথা নয়? আমি একটা আন্দোলনকারী মেয়েকে বললাম মেরিট লিস্টে তোমার নাম আছে এটা কী করে জানলে? সে বলতে পারছে না। কঠোর বাস্তবতাটা আমরা কখনও মানুষের কাছে তুলে ধরিনা। লিস্ট বার করে বড় বড় আইনজীবী-নেতারা মামলা করছেন না কেন? কারণ কোনও রেকর্ডই নেই।”
একইসঙ্গে অরুণাভ আরও বলেন, “ববিতা-অঙ্কিতার ক্ষেত্রে আইন বিরুদ্ধ রায় হয়েছে। সংবিধানের ২৩ ধারায় বলা আছে বেগার খাটা চলবে না। সুপ্রিম কোর্ট বলছে আমাকে যদি কেউ বেআইনিভাবে চাকরিও দেয়, আমি যদি চাকরিটা করি, আমি যদি শ্রম দিই, তাহলে আমাকে শ্রমের টাকাটা দিতে হবে। কিন্তু শ্রমের টাকাটা কেটে নেওয়া হল? আমি জানলামই না আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে গেল। আমার ৮ লক্ষ টাকা ফেরৎ দিলাম। আমার ফাঁসির রায় হয়ে গেল আমি জানলাম না। ক্ষুদিরামের বিরুদ্ধে প্রমাণ ছিল সে গুলি করেছে। তাঁর বিরুদ্ধেও সাক্ষী দিতে হয়েছে ব্রিটিশ আমলে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে তো সুযোগ দিতে হবে বলার। তাঁর বিরুদ্ধে রায় হয়ে যাচ্ছে সে জানে না। তাঁকে পার্টি করা হয়নি।”