প্রেমিকের সঙ্গে মিলে সূচ ফুটিয়ে মেয়েকে হত্যা
নিউজ ডেস্ক::ফাঁসির সাজা রদ। সূচ ফুটিয়ে শিশুকন্যাকে হত্যার ঘটনায় মা মঙ্গলা এবং তাঁর প্রেমিক সনাতনের ফাঁসির সাজা রদ করল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েিছল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
সাত বছরের শিশুকন্যার শরীরে সূচ ফুটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। পুরুলিয়ায় তান্ত্রিক সনাতনের ঘটনায় চমকে উঠেছিল গোটা বাংলা। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল শিশুকন্যার মা মঙ্গলাও। ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। পুরুলিয়া আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চ ছিল মামলার শুনানি। সওয়াল জবাব শেষে মঙ্গলা ও তাঁর প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কয়েক বছর আগের ঘটনা। পুরুলিয়ায় দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই শিশুকন্যা। তাকে পরীক্ষা করতে গিয়ে রীতিমত চমকে উঠেছিলেন চিকিৎসকেরা। তার সারা শরীরে ছিল ক্ষত। এমনকী যৌনাঙ্গেও গভীর ক্ষত দেখতে পান চিকিৎসকরা। হাসপাতালের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। তারপরে এক্সরে-তে জানা যায় শিশুর শরীরে সাতটি বড় বড় সূচ রয়েছে। অস্ত্রোপচার করে শিশুর শরীর থেকে অস্ত্রোপচার করে সূত বের করার েচষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচােনা যায়নি শিশুটিকে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে শিশুটির মা মঙ্গলা স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন। মেয়েকে িনয়ে সনাতনের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন তিিন। সনাতন তন্ত্রসাধনা করতেন। সেই তন্ত্র সাধনায় মঙ্গলার শিশুকন্যাকে কাজে লাগানো হত। তাঁর সারা গায়ে সূচ ফুটিয়ে তন্ত্রসাধনা করতেন। তার সঙ্গে চলত অত্যাচার। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় সনাতন এবং মঙ্গলা। বিরলতম অপরাধ জানিয়ে ফঁাসির সাজা শুনিয়ে দেয় আদালত।