এই বিশেষ উপকরণটি না থাকলে কোনও ভাবেই সম্পূর্ণ হবে না গণেশপুজো
নিউজ ডেস্ক::এই উপকরণটি ছাড়া গণেশের পূজা পুরো হবে না
গণেশ হলেন সকলের কাছে সিদ্ধিদাতা। ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে তাঁর পূজা-ব্রতের বিধি হয়। এই তিথি গণেশের জন্মতিথি। গণেশ চতুর্থী তাই অতি দুর্লভ তিথি। অতি পুণ্য তিথি। এ বছর ৩১ অগস্ট গণেশ চতুর্থী বা বিনায়ক চতুর্থী। তবে এ নিয়ে একটি অন্য গল্পও চালু। গণেশ চতুর্থী নাকি প্রথম উদযাপন করেন চাঁদ। নিজের সৌন্দর্যে বিভোর চাঁদ গণেশের শুঁড় দেখে ব্যঙ্গ করেছিলেন তিনি। তাতে গণেশ রেগে অভিশাপ দেন। চাঁদ নিজের ভুল বুঝতে পারেন। ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে,তাঁর কৃতকর্মের জন্য চতুর্থীতে উপোস করে গণেশ আরাধানা করেন চাঁদ। মনে করা হয়, এভাবেই গণেশ চতুর্থীর প্রচলন।
সামনেই গণেশ চতুর্থী। এদিন বিঘ্নবিনাশক সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধানায় মাতবে গোটা দেশ। যেকোনও শুভ কাজের আগে গণেশের পুজো করলে সেই কাজ সফল হয়। বিভিন্ন দেবতার পুজোর আগেও গণেশের পুজোর বিধি।
অল্পেতেই তুষ্ট হন গণেশ। গণেশপুজোয় গণেশ মূর্তি তো থাকবেই। এ ছাড়া আরও কিছু উপকরণ জরুরি। এর মধ্যে বেশ কিছু জিনিস আছে যা আবশ্যক। জেনে নিন, কোন কোন জিনিস গণেশপুজোয় অতি আবশ্যক।
এই উপকরণগুলি না থাকলে হবেই না গণেশপুজো :
১ দূর্বা – এটি গণপতির অতি প্রিয়। এটি ছাড়া গণেশ পুজো অসম্পূর্ণ। গণেশপুজোয় পাঁচটি দূর্বা দিতেই হয়। ভুলেও গণেশের পুজোয় তুলসী ও বেলপাতা ব্যবহার করবেন না।
২ চন্দনকাঠের মালা – শিবের যেমন রুদ্রাক্ষ, বিষ্ণুর যেমন তুলসী, গজাননের তেমন চন্দনকাঠের মালা।
৩ মোদক – গণেশের পুজোয় মোদক মাস্ট। কোনও ভাবেই গণপতির পুজোয় এই জিনিসটি দিতে ভুলবেন না।
৪ রক্তপুষ্প – দুর্গানন্দন গণপতির প্রিয় হল বিভিন্ন রক্তপুষ্প; এছাড়াও, তাঁর পুজোয় জুঁই, চামেলি, মল্লিকা আবশ্যক।
৫ রক্তবস্ত্র – গণেশের পুজোয় একটি নতুন লাল কাপড় চাই।
৬ নারিকেল- গণেশের নৈবেদ্যে মোদকের সঙ্গে নারিকেলও অতি অতি আবশ্যক।
বাকি গুলি হল জলের ঘট, পঞ্চামৃত, গঙ্গাজল, পান-সুপুরি, বাতাসা, লবঙ্গ, এলাচ, ঘি, কর্পূর, ধূপ ও দীপ।