পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘বৈদিক প্যানেটোরিয়াম’
নিউজ ডেস্ক::বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নাম কার্যত জুড়ে গিয়েছে। নদিয়ার মায়াপুরে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম। যা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ কৃষ্ণ কনসায়নেস অর্থাৎ ইসকনের সদর দফতর হিসেবে কাজ করবে।
বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম গম্বুজ। সেখানে যাওয়া অতিথিরা মহাজাগতিক সৃষ্টির বিভিন্ন অংশ দেখার সুযোগ পাবেন সেখানে। কোভিড মহামারীর কারণে এর কাজ দু-বছরের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে। ইসকন সূত্রে খবর ২০২৪-এ মন্দিরটি ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামের মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার মায়াপুরে। এর কাজ সম্পূর্ণই হলে, তা তাজমহল এবং ভাটিকানের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের থেকেও বড় হবে। এটি কাম্বোডিয়ার ৪০০ একরের আঙ্কোরভাট মন্দির কমপ্লেক্সকে সরি বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে জায়গা করে নেবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনের নকশায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল প্রভুপাদ এই মন্দির তৈরি কথা বলেছিলেন। ১৯৭৬ সালে তিনি মন্দিরের বাহ্যিক শৈলীর ব্যাপারে তাঁর পছন্দের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি যখন ওয়াশিংটনে ছিলেন, সেই সময় তিনি বিশাখা মাতাজি এবং যদুবরা প্রভুকে ক্যাপিটলের ছবি তুলতে বলেছিলেন।
বিশ্বের বৃহত্তম গম্বুজ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম তৈরির উদ্যোগের প্রধান অ্যালফ্রেড ফোর্ড। তিনি ধনকুবের হেনরি ফোর্ডের প্রপোত্র এবং ফোর্ড মোটর কোম্পানির ভবিষ্যত মালিক। ইসকনের যোগ দেওয়ার পরে তিনি নিজের নাম রাখেন অম্বরীশ দাস। তিনি মায়াপুরকে শ্রীল প্রভুপাদের চিন্তায় রূপন্তরিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। তারপরেই তিনি পরিকাঠামো তৈরির জন্য ৩০ মিলিয়ন ডলার দান করেন।
মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। সব মিলিয়ে সেখানে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।