নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন নীতিশ কুমার
নিউজ ডেস্ক::নিজের করা মন্তব্য থেকে সরে এলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শনিবার তিনি বলেছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৫০টির বেশি আসন পাবে না। নীতীশ কুমারের এই মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়। নিজের মন্তব্য থেকে সম্পূর্ণ সরে এসে নীতীশ কুমার বলেন, বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে কত আসন পাবে, সেই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বিরোধী জোট নিয়ে বেশি আগ্রহী।
রবিবার জনতা দল ইউনাইটেডের জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকের পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি শনিবার করা মন্তব্য থেকে সম্পূর্ণ সরে আসেন। তিনি বলেন, তিনি কোনও সংখ্যার বিষষে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বর্তমানে বিরোধী ঐক্য জোটের বিষয়ে বেশি আগ্রহী। নীতীশ কুমার বলেন, আমার উদ্দেশ্য হল, সমস্ত বিরোধী দলকে একত্রিত করা। বিরোধী ঐক্য জোটের সফলতা নিশ্চিত করা। আমি এই ধরনের সংখ্যার কথা কখনও বলিনি। কিন্তু শনিবার জেডিইউ-এর পার্টি অফিসে নীতীশ কুমার বলেন, যদি সমস্ত বিরোধীরা একজোট হয়, বিজেপি কখনই ৫০টির বেশি আসন পাবে না। আমরা বর্তমানে বিরোধীদের এক জোট করার চেষ্টা করছি।
অগাস্ট মাসে নীতীশ কুমার বিজেপি জোট থেকে বেরিয়ে আসেন। কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে জোট করে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ কুমার। বিহারে মহাগঠবন্ধন জোট সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পরেই নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বিরোধী জোটের জন্য কাজ করবেন। জোট থেকে বেরিয়ে আসার সময় জেডিইউ-এর প্রবীণ নেতা অভিযোগ করেন, বিজেপি জোটে দম বন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অমিত শাহ বিহারের প্রতিটা সিদ্ধান্তের হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে জেডিইউ ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
গত শুক্রবার শুক্রবার মণিপুরের ছয় জেডিইউ বিধায়কের মধ্যে পাঁচজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মণিপুরে বর্তমানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। লিলং আসনের বিধায়ক মহম্মদ নাসির মণিপুরে একমাত্র জেডিইউ বিধায়ক। তবে তিনি শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। এর আগে অরুণাচল প্রদেশের সাত জেডিইউ বিধায়কের মধ্যে ছয়জন বিজেপিতে যোগ দেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, কয়েকদিন আগেই এই বিধায়করা বিহারে বৈঠকে জাতীয় কার্য নির্বাহীর বৈঠকে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এখন তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন। এটা কোনও সংবিধানিক উপায় হতে পারে না। এর অর্থ বিজেপি কোনও বিরোধী দল চায় না বলে নীতীশ কুমার মন্তব্য করেন।