মমতা কি পিছিয়ে পড়ছেন কেজরিওয়ালের থেকে, উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক::দিল্লির পরে পঞ্জাবে সাফল্য পেয়েছে আপ । গুজরাতে প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপরেই দলের সংগঠন বৃদ্ধি এবং জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে কর্নাটকে পা রাখতে শুরু করেছে।
বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্নাটকে তৎপরতা শুরু করেছে আপ। এবছরের শেষের দিকে সেখানে নির্বাচনের কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে ভাল ফল করতে চায় আপ। এমনটাই জানিয়েছেন আপের রাজ্য সভাপতি ভাস্কর রাও। শহরের ২৪৩ টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১০ হাজার সদস্য নথিভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রাও রাখা হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের তরফে।
আপের তরফে কর্নাটকে রাজ্যস্তরে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে গ্রাম যোগাযোগ অভিযান। এর মাধ্যমে তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আপের তরফে। আপের তরফে মহিলা, যুব, ওবিসি, এসসি, এসটি, ব্যবসায়ী, কৃষক, পেশাদার-সহ বিভিন্ন শাখাও গঠন করা হয়েছে।
আপের রাজ্য সভাপতি তথা বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও জানিয়েছেন, তারা সদস্যপদ সংগ্রহের জন্য নেমেছেন। যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে তাঁদেরকে আপের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রচারে দিল্লিতে আপ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরা হচ্ছে।
দিল্লি সরকারের চিফ হুইপ তথা কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আপ নেতা দিলীপ পাণ্ডে কর্বাটক সফর করছেন। মঙ্গলবার তিনি বেঙ্গালুরুতে কর্নাটক আপের প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টরের উদ্বোধন করতে চলেছেন। আপের তরফে বলা হয়েছে, কর্নাটকে তাদের সংগঠন গড়ে তোলাটা চ্যালেঞ্জের। কেননা সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেস উভয়েই শক্তিশালী এবং জেডিএস-এরও সংগঠন কোনও কোনও জায়গায় যথেষ্টই মজবুত। তবে তাঁরা কর্নাটকে প্রভাব বিস্তার করে তিনটি দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন আপের রাজ্য সভাপতি।
আপের রাজ্য সভাপতি বলেছেন, সংগঠন বিস্তারে তারা অন্য দল থেকে নেতা আমদানি করতে চান না। কেননা যাঁরা নির্বাচনে হেরেছেন কিংবা ইমেজ খারাপ তারা আপের দিকে ঝুঁকে পড়তে চাইবেন। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আপের রাজ্য সভাপতি বলেছেন, নির্বাচনে হারায় আপত্তি নেই। তবে তারা ভাল প্রার্থী দিতে চান। রাজ্যে তারা নতুন এবং তাদেরকে অনেক দূর যেতে হবে। তারা ধীরে হলেও সঠিক পথেই চলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০২১-এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরে ভিন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কাজে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তারা গোয়ার নির্বাচনের তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। ত্রিপুরাতেও তারা পিছিয়ে পড়েছে। এখনও তাদেরকে আপের মতো আগ্রাসী হতে দেখা যায়নি। ফলে ২০২৪-এর লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনায় সংগঠনের লড়াইয়ে খানিক এগিয়ে গেলেন কেজরিওয়াল এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।