কোলকাতার মহানাগরিকের প্রেসমিট
নিউজ ডেস্ক::ইদানিং কোলকাতার মহানগরীক ববি হাকিম নিয়মিত সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।আজ তিনি নিজের ঘরে সাংবাদিকদের ডেকে নেন।তারপর সংবাদিকদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি আজ প্রধানত কোলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন।ডেঙ্গুতে যিনি মারা গেছেন,তার প্লেটলেট বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ হার্ট ফেল করে মারা যান।মহা নাগরিক এটা অস্বীকার করেন যে ওই ব্যক্তি ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।তবে তিনি বলেন,কলকাতা পৌর নিগম আপ্রাণ চেষ্টা করেও কিছু মানুষের অসহযোগিতায় ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্ত।
তিনি বলেন,পৌর নিগম সর্বত্র নিয়মিত যাচ্ছে, তদারকি করছে।তিনি বলেন,তিনি নিজে একাধিকবার বিভিন্ন অঞ্চল সরজেমিনে পর্যবেক্ষণ করেছেন।বাড়ির ভিতরে ভাঙা মাটির কলসিতে জল জমে আছে।ফ্রিজের ট্রের মধ্যে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।বিভিন্ন অঞ্চলে বহু মানুষ ফ্ল্যাট কিনে বাইরে থাকেন।তেমন অনেক ফ্ল্যাটের কমোডের মধ্যে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।মানুষ যদি এতো দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়,তা হলে আমরা কী করব?
মেয়র বলেন,ঠাকুর পুকুরে একটি রাস্তায় ধস নেমেছে,সেখানে খুব তাড়াতাড়ি পাইলিং করা হবে।তিনি সেই প্রসঙ্গে বলেন,বর্ষাকালে রাস্তায় ধস নামতেই পারে।আসল কথা কত তাড়াতাড়ি সেটাকে সরানো যায়।
তিনি দুঃখ করে বলেন,বেআইনি পার্কিং কোলকাতার একটা বড়ো সমস্যা।তবে পুরনিগম অচিরেই অবৈধ পার্কিং যারা করে তাদের বৈধ কার্ড দেওয়া হবে।যারা পার্ক করবেন,তাদের কাছে অনুরোধ,তারা যেন সেই কার্ড চেক করে নেন।
গার্ডেনরিচে জনৈক পরিবহন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে বলেন,এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।তবে একটা কথা বলি,এই জাতীয় তল্লাসি শুধু বিরোধী রাজ্য গুলোতেই হচ্ছে।কোনো বিজেপি শাসিত রাজ্যে তো হচ্ছে না?এতে রাজ্যের ব্যবসায়ীরা ভীত হয়ে অন্যত্র চলে যাবে।এটা কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য কিনা জানি না।
আনিস খানের ভাইয়ের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে বলেন,যারা আক্রমণ করেছে তাদের তাড়াতাড়ি ধরা হবে।
তবে আনিস খানের বাবা একটি রাজনৈতিক দলের পরামর্শে চলছেন।
উত্তর বঙ্গ বিজেপি আলাদা রাজ্যের দাবি যে ভাবেই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রুখে দেবে।
তিনি বলেন,শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হতে হবে।