কয়লা কাণ্ডে সিবিআই-এর ডাক দল বদলু বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে
নিউজ ডেস্ক::মাস খানেক আগে তিনি এই কয়লা পাচার নিয়ে কয়লা মন্ত্রককে চিঠি লিখেছিলেন। আজ তাঁকেই সিবিআই ডেকে পাঠাল বেআইনি কয়লার কারবার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে আজ সিবিআই তলব করেছে।
ঠিক এক মাস আগের ঘটনা। সিবিআইয়ের র্যাডারে অনেক দিন আগে থেকেই ছিল বেশ কয়েকজন কয়লা মাফিয়া। তালিকায় ছিল ইসিএল আধিকারিক এবং প্রভাবশালীরা। তখন এই জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ ছিল মাঝে কয়েকদিন কয়লা পাচার স্তিমিত থাকলেও আবার তা ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে। তা রুখতেই হবে। এই বিষয়ে তাই তিনি কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীকে চিঠি লিখে পাঠান। তিনি এই বিষয় নিয়ে চিঠি দেন কোল ইন্ডিয়া , ইসিএলের সিএমডি এবং আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারকেও।
সেই সময় তাঁর দাবি ছিল এই যে, চুরি হচ্ছে ইসিএলে। এর অধীনে থাকা খনিতে যেগুলিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কয়লা তোলা হয় সেখানেই হচ্ছে ব্যাপক চুরি। ওই সমস্ত কোম্পানিকে ইসিএল দায়িত্ব দিয়েছে কয়লা তোলার জন্য। কার্যত একে সর্ষের মধ্যে ভূত বলা যেতে পারে। তাঁরাই চুরি করে নিচ্ছে কয়লা, আর পাচার করে দিচ্ছে অন্যত্র। জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ ছিল অন্তত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কয়লা মাফিয়াদের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছিল। প্রাক্তন বিধায়কের দাবি ছিল যে কয়লা খনি থেকে তোলা হচ্ছে তার সঙ্গে ইসিএলের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পৌঁছনো কয়লার মধ্যে কী ফারাক রয়েছে সেটা খুঁজলেই পাওয়া যাবে।
কিন্তু সে সব ঘটনা এখন অতীত তাঁকেই সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে এই ব্যপারে কথা বলতে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসবের মধ্যেও রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে। নাগাড়ে তৃণমূল নেতাদের ডেকে পাঠানোয় বিষয়টা একমুখী হয়ে যাচ্ছে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। দল বদলু জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে ডেকে বিষয়টি নিউট্রাল করার চেষ্টা হল।
প্রসঙ্গত, বুধবার সাত সকালে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছিল। মন্ত্রীর আসানসোলের বাড়িতে চলে তল্লাশি। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়েই সিবিআই অভিযান শুরু হয়। কলকাতাতেও একসঙ্গে ৩ ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে তল্লাশি। আসানসোলে মন্ত্রী মলয় ঘটকের দুটি বাড়িতে একযোগে সিবিআই হানা হয়। প্রথমে যে বাড়িতে মলয় ঘটক থাকেন সেই বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। প্রায় ৪৫ মিনিট সেখােন তল্লাশি চালানোর পর সিবিআইয়ের আরেকটি দল মলয় ঘটকের আরেকটি বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়িটি তালা বন্ধ ছিল. সেকানে থাকা এক কর্মীকে সিবিআই অফিসাররা নিয়ে যায়. গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছে. পুরনো বাড়িতে চার সিবিআই অফিসার তল্লাশি শুরু করেছে। দলে ছিল সিবিআইয়ের এক মহিলা অফিসারও।