কয়লা-কাণ্ডে সিআইডির মুখোমুখি হচ্ছেন না জিতেন্দ্র!
নিউজ ডেস্ক::কয়লা-কান্ডে হাজিরা দিচ্ছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আজ শুক্রবার তাঁকে তলব করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। মূলত সাক্ষী হিসাবেই তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু খবর অনুযায়ী এদিন হাজিরা দিচ্ছেন না আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র। কয়লা এবং গরু পাচার-কাণ্ডে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
কিন্তু এরপরেও আলাদা ভাবে ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালাচ্ছেন রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই মতো পুরানো একটি মামলাতে প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে তলব করে সিআইডি। যদিও বৃহস্পতিবারই সিআইডির তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, আইনত পারে না। এখানে অনেক কেন্দ্রীয় আধিকারিক জড়িত রয়েছে।
আজ ১১ টার মধ্যে ভবাণী ভবনে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয় বিজেপি নেতাকে। কিন্তু রাতেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, তিনি আসতে পারছেন না। কারণ হিসাবে জিতেন জানিয়েছেন, তিনি পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন। পান্ডবেশ্বরের মধ্যে অন্ডাল জায়গাটি পড়ে না বলে দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেও অন্ডাল পড়ে না বলে চিঠিতে উল্লেখ প্রাক্তন তৃণমূল নেতার। কীসের ভিত্তিতে আড়াই বছর পুরানো মামলাতে তাঁকে তলব করা হয়েছে তা নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন।
বৃহস্পতিবারই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ওর উচিৎ আদালতে যাওয়া। আমি ওর পাশে থাকব। আর এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি নেতার। জানা যাচ্ছে, আজ শুক্রবারই সম্ভবত আদালতে আবেদন করবেন বিজেপি নেতা। যেখানে সিবিআই তদন্ত করছে কীভাবে সিআইডি তাঁকে ডাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা হচ্ছেন বলেই জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে সেই মতো কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন জিতেন মাঝি।
শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার বলেন, সিবিআই যখন তদন্ত করছে সিআইডি কখনই তদন্ত করতে পারে না। রাজনৈতিক লোকদের মিথ্যা বলে টাচ করার চেষ্টা চলছে। তবে গরু পাচার মামলা একাধিক রাজ্যের ব্যাপার বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। তাঁর মতে, এখানে সেন্ট্রালের আধিকারিকরাও যুক্ত রয়েছে। এমনকি কোলের আধিকারিকরা যুক্ত সেখানে সিআইডি ঢুকতেই পারে না। এমনকি বাংলাদেশে টাকা গিয়েছে। ব্যাঙ্ককেও টাকা গিয়েছে বলেও দাবি বিরোধী দলনেতার। সেখানে কীভাবে সিআইডি তদন্ত করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধী দলনেতার।