শেয়ার বাজারে ফের রক্তক্ষরণ
নিউজ ডেস্ক::শেয়ারবাজারে আরও পতন। দুপুর ২ টোর পর থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে শেয়ার বাজারে। সব কোম্পানির শেয়ারের দাম লাল সূচকের নীচে নামতে শুরু করেছে। ১,০৩০ পয়েন্ট পড়েছে শেয়ার বাজার। নিফটিও পড়েছে ৩২৮ পয়েন্ট। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়াই এর মূল কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাজার খুলতেই দালাল স্ট্রিট ঝিমিয়ে পড়েছিল। একের পর এক শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ৩০০ পয়েন্টের বেশি পড়েেছ শেয়ার বাজার। একের পর এক শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করেছিল। হতাশ হয়ে পড়েছিলেন শেয়ারের ব্যবসায়ীরা। উৎসবের মুখে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ার কথা কিন্তু আমেরিকার রিসেশন শুরু হচ্ছে। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন গবেষকরা। তার জেরেই একাধিক বিদেশী বিনিয়োগকারী শেয়ার তুলেনিতে শুরু করেছেন।
একাধিক শেয়ারের দাম পড়েছে। ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক ছাড়া প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারই পড়তে শুরু করেছে। যেসব কোম্পািনর শেয়ারে দাম পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা,টেক মাহিন্দ্রা, টিসিএস, ইউপ্রো, ইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ইনফোসিস, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এইচসিএল টেকনোলজিস। এছাড়া ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, বাজাজ ফিনান্স, সান ফার্মা, টাইটান, এশিয়ান পেন্টসের শেয়ারের দরও পড়েছে। এক প্রকার মাথায় হাত শেয়ার বাজারের কারবারিদের।
নিফটিতেও দুরাবস্থা। সেখােন নিফটি অটো, নিফটি মেটাল, নিফটি আইটির খুব খারাপ অবস্থা। ১ শতাংশেরও বেশি পড়েছে িনফটির একাধিক কোম্পানির পয়েন্ট। বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার খাতে বইতে শুরু করেছে তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট
হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পর পর তিনবার রেপোরেট বাড়িয়েছে। তার জেরে মধ্যবিত্তের সংকট বেড়েছে। দামি হয়েছে গাড়ি-বাড়ির ইএমআই। মোটা টাকা দেনা শোধ করতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে।
এদিকে টাকার দামেও পতন শুরু হয়েছে। ডলারের তুলনায় টাকার দাম গত কয়েকদিনে রেকর্ড হারে পড়েছে। তার প্রভাবও পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। টাকার দামে পতন শুরু হলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে। তার ধাক্কা সামাল দিতে হিমসিম খেতে হবে আম জনতাকে। এদিকে আমেরিকাতেও আর্থিক মন্দা শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছর থেকেই আমেরিকায় রিসেশন শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীিতবিদরা।