জনসংযোগে নতুন কৌশল তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগে নতুন কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার যাত্রাকে হাতিয়ার করে জনসংযোগ অভিযান ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারাভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। পুজোর পর ভাইফোঁটা মিটলেই তৃণমূল এই নয়া অভিযানে নেমে পড়বে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অভিনব এই কর্মসূচি নিতে চলেছে। এই যাত্রানুষ্ঠানকে মাধ্যম করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বুকিং। হাবড়া, অশোকনগর, বনগাঁ, বারাসতের বিভিন্ন এলাকা. বুকিং হয়ে গিয়েছে যাত্রার।
তৃণমূলের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা এবার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। গ্রামের বহু মানুষের কাছে এক সঙ্গে পৌঁছনো যাবে বলে এই রাস্তা নিয়েছে তৃণমূ কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, যাত্রার মাধ্যমে বহু সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে। তাই এই প্রচার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কম প্রচেষ্টায় বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য। সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলো এই সব যাত্রাপালার মধ্যে তুলে ধরা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিগত দু-বছর ধরে উৎসব ও আনন্দে রাশ টানা হয়েছিল। এবার করোনা পরি্স্থিতি কেটে যেতেই বাংলার ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে উৎসবের আনন্দ থেকে আর বিরত থাকতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। রাজ্যের মানুষকে তারা নানা উপহার দিয়ে চলেছে। পুজোর মরশুম শুরু হয়েছে। তা শেষ হওয়ার পরই যাত্রার মাধ্যমে জনসংযোগে নামবে তৃণমূল।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই আর কালক্ষেপ করতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। পুজো মিটলেই গোটা দলকে নিয়ে ময়দানে নেমে পড়তে চাইছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিনব উদ্যোগে প্রচারাভিযানে নামবে। বিজেপি, সিপিএম-সহ বিরোধীরা ময়দানে নামার আগে জনসংযোগে শত যোজন এগিয়ে থাকাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধযেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্র্তিটি জেলায় তৃণমূল স্তরে নেমে গিয়ে প্রচার করতে হবে। ভোটারদের দোরে দোরে যেতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে হবে। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এমন অভিনব উদ্যোগ নিল। যেখানে যাত্রার মাধ্যমে মানুষের মন ছুঁতে চাইছে তৃণমূল। স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে বিধায়কদেরও এই প্রচারাভিযানে শামিল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী মন্ত্রী-সাংসদদেরও সময়-সুযোগ করে এই কর্মসূচিতে শামিল হতে বলা হয়েছে।