কিষান ক্ষেত মজদুর ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন থেকে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল শাসকদল

0 0
Read Time:4 Minute, 1 Second

নিউজ ডেস্ক:পূজোর ঢাকে কাঠি পড়ার সাথে সাথেই যেন পঞ্চায়েত ভোটেরও ঢাকে কাঠি পড়ে গেল জেলাতে। সৌজন্যে শাসকদলের জনসভা। কাতারে কাতারে ভিড় মানুষের। উপস্থিত রাজ্য সভাপতি এবং মন্ত্রী। আত্ম-বিশ্বাসের সুর নেতৃত্বের গলায়।মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কিষান ক্ষেত মজদুর ইউনিয়নের জনসভাতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। উপস্থিত ছিলেন কিষান খেত মজুরের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান, জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন, রতুয়া বিধায়ক সমর মুখার্জী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ, ব্লক সভাপতি পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যরা। হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণ বালা বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে ছিল এই জনসভা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সকলেই এসেছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে উচ্চ নেতৃত্বের বার্তা শুনতে। কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষের ভিড় এতটাই ছিল যে মাঠের জায়গা কম পড়ে গেছিল। বিদ্যালয়ের বাইরে রাস্তাতেও দাঁড়িয়ে নেতৃত্বের বক্তব্য শুনছিল বহু মানুষ। তৃণমূল নেতৃত্বের গলাতেও শোনা যায় আত্ম-বিশ্বাসের সুর। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে নেতারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কৃষি প্রধান এই জেলাতে কৃষকদের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মূলত আজকের এই সভা।

মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কিষাণ ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি তাজমুল হোসেন কিছুদিন আগেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী হন। যিনি আবার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকারই বিধায়ক। তাই কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উদ্দীপনা যেন একটু বেশিই ছিল। পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফলাফল করার ব্যাপারে রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসুর গলাতেও শোনা যায় আত্মবিশ্বাসের সুর। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাট চাষের সমস্যার ব্যাপারেও দেখার আশ্বাস দেন তিনি। কার্যত এই সভার মধ্যে দিয়েই যেন পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল শাসকদল।

তৃণমূল কংগ্রেস কিষাণ ক্ষেত মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু বলেন, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা আমাদের উদ্দেশ্য। তার জন্য প্রত্যেকটা শাখা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। কিষাণ সেল যত মজবুত হবে তৃণমূলের শক্তি তত বাড়বে। পাট চাষ নিয়ে সমস্যা স্বাধীনতার সময় থেকেই। তাই এক দিনেই সমস্যার সমাধান হবে না।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!