গেহলটের পরিবর্তে কি কমলনাথেই আস্থা?
নিউজ ডেস্ক::অশোক গেহলটকে নিয়ে তুমুল অশান্তি চলছে রাজস্থানে। অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ছাড়তে রাজি নন তাঁর অনুগামীরা। তারই প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাতে প্রবল অসন্তুষ্ট কংগ্রেস সভােনত্রী সোনিয়া গান্ধী। তার পরেই গতকাল রাজধানী দিল্লিতে নিজের বাসভবনে কমলনাথের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপরেই কমলনাথকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী নন।
অশোক গেহলটকে সভাপতি পদে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিতে রাজস্থান কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। গেহলট অনুগামীরা কিছুতেই সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চান না। তার জন্য প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁরা। তাতে প্রবল অসন্তুষ্ট সোনিয়া গান্ধী। এরই মধ্যে আবার গতকাল দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধী বৈঠক করেছেন কমলনাথের সঙ্গে। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি কংগ্রেস সভাপতি পদে এবার গেহলটের পরিবর্তে কমলনাথকে ভাবতে শুরু করেছে হাইকমান্ড।
তবে এই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন কংগ্রেস নেতা নিজেই। তিনি বলেছেন, তাঁর সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার কোনও আকঙ্খা নেই। তিিন দিল্লিতে এসেছেন কেবল মাত্র দলকে সাহায্য করতে। এই সংকটজনক পরিস্থিতি থেকে দলকে কীভাবে বের করে আনা যায় তাতে সাহায্য করতেই তিনি দিল্লিতে এসেছেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
অশোক গেহলটের জায়গায় সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী মানতে নারাজ কংগ্রেসের একাধিক বিদায়ক। প্রায় ৯০ জন কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অজয় মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানো হয়েছে রাজস্থােন তাঁরা দফায় দফায় কথা বলছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে। তার মাঝে কমলনাথকে দিল্লিতে জরুরি তলব করা হয়। এদিকে আবার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে হাইকমান্ডকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন অজয় মাকেন। তারপরেই কমলনাথকে তলব করায় জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
এক ব্যক্তি এক পদ। এই নীতি দলে কার্যকর করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। সেই নীতি মেনে চললে সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে অশোক গেহলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। এদিকে গেহলটের অনুগামীরা যেভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাতে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে। অশোক গেহলট নিজে কিন্তু এই নিয়ে িনরুত্তাপ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন এই িনয়ে তাঁর কিছু করার নেই। তাতেই আরও সন্দেহ বাড়ছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখতেই এই পরিকল্পনা করছেন অশোক গেহলট।