দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বেকারত্বের হার উদ্বেগজনক
নিউজ ডেস্ক::ভারত অর্থনীতির দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে চলে গিয়েছে। কিন্তু ভারতে বেকারত্ব বা দারিদ্রের বিশেষ উন্নতি হয়নি। এমনটাই মন্তব্য করলেন আরএসএস সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি মনে করছেন, কয়েক দশক ধরে বেকারত্ব ও দারিদ্রের রাক্ষস ভারতকে পঙ্গু করে রেখেছে।
আরএসএস-এর অনুষঙ্গী স্বদেশ জাগরণ মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত স্বনির্ভর হওয়ার জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। অতীতেও ভারত অর্থনীতির দিক থেকে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশ থেকে দারিদ্র ও বেকারত্ব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। নবরাত্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নবরাত্রির নয় দিন পর বিজয়া দশমীতে যেভাবে মা দুর্গা রাক্ষসকে বধ করে, সেভাবে দেশকেও এই দানবের মতো চ্যালেঞ্জকে বধ করতে হবে। কয়েক দশক ধরে রাক্ষসের মতো দেশের বেকারত্ব আমাদের বার চ্যালেঞ্জ করে আসছে। সেই চ্যালেঞ্জে আমাদের সাফল্য পেতেই হবে।
আরএসএসের সাবলম্বী অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আরএসএস-এর পক্ষ থেকে মহাত্মা গান্ধী ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরএসএসের এই প্রবীণ নেতা যুবকদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, দেশের ২০ কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র সীমার নিচে। যা যথেষ্ঠ হতাশাজনক। কিন্তু ভারতের এক শতাংশের হাতে দেশের মোট সম্পত্তির ২০ শতাংশ রয়েছে। একই সময়ে দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের আয় মাত্র ১৩ শতাংশ। আমাদের এই অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে ভাবতে হবে।
রবিবার হোসাবলে ভারতের দারিদ্র ও বেকারত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসংঘের যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই। তিনি বলে, কিছু তথ্য অনুযায়ী দেশের ২০ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে। প্রায় ২৩ কোটি মানুষের দৈনিক আয় ৩৭৫টাকার নিচে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে ভারতে দারিদ্রসীমার হার ২২ শতাংশের তুলনায় গত কয়েক বছরে বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন তা ১৮ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁচেছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু বার্ষিক আয় ছিল ১.৩৫ লক্ষ টাকা। তা এখন দাঁড়িয়েছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন।