জম্মু-কাশ্মীরে ডিজি হত্যার দায় স্বীকার জঙ্গি সংগঠন PAFF-এর
নিউজ ডেস্ক ::জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজি কারা হেমন্ত কুমার সোমবার লোহিয়াকে নিজের বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর দেহে ছিল ক্ষত চিহ্ন। তবে ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ তাঁর গৃহকর্মী পুলিশ তাঁর ইয়াসির। এদিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই মৃত্যুর দায় নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন পিএএফএফ।
৩ অক্টোবর জম্মুর তাছে উজাইওয়ালায় নিজের বাড়িতে মৃক অবস্থায় পাওয়া যায় হেমন্ত কুমার লোহিয়াকে। তাঁর গলায় ছিল আঘাতের দাগ। এছাড়াও শরীরে পোড়া আঘাতের চিহ্ন ছিল। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক তাঁর গৃহকর্মী ইয়াসির। ফলে ওই বক্তি এই খুনের ঘটনার মূল অপরাধী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযানও শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত ইয়াসির এর আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির বাড়িতে কাজ করত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর তিনদিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফর শুরু করেছেন। সেই পরিস্থিতি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পিএএফএফ বলেছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এই ধরনের ঘটনা রাজ্য সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ছোট উপহার। জঙ্গি গোষ্ঠী সতর্ক করে বলেছে, তারা যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে। এই ধরনের আরও হাই প্রোফাইল অপারেশন চালানোর হুমকি দিয়েছে তারা।
১৯৯২ ব্যাচের আইপিএস হেমন্ত কুমার লোহিয়াকে জম্মু উপকণ্ঠে উদাইওয়ালার বাসভবনে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যয়। গত অগাস্টে তাঁকে ডিজিপি কারা হিসেবে নি.য়োগ করা হয়েছিল।
তাঁর শরীরে পোড়া আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। জম্মুর অতিরিক্ত ডিজিপি মুকেশ সিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাটিকে সন্দেহজনক হত্যার মামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কাশ্মীরের রামবান জেলায় বাসিন্দা হেমন্ত কুমার লোহিয়ার গৃহকর্মী ইয়াসির পলাতক।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং বলেছেন, হত্যাকারী প্রথমে লোহিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর তাঁর গলা কাটতে একটি ভাঙা কাঁচের বোতল ব্যবহার করা হয়। এরপর দেহে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়।
এইচকে লোহিয়ার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে ঘটনার সময় তাঁরা কেউই ছিলেন না। মেয়ে থাকে লন্ডনে, ছেলে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে কর্মরত। খুনের সময় গৃহকর্মী ইয়াসির ছাড়া অন্য কেউ ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
ডিজির বাড়িতে থাকা রক্ষীরা বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে সন্দেহ করেন। ঘরের কাছাকাছি যেতেই সন্গেহ আরও বাড়ে। কেননা ঘরটি ছিল তালা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করা হয়।