জামিন পেলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ
নিউজ ডেস্ক::অবশেষে জামিন পেলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা এনসিপি দলের বিধায়ক অনিল দেশমুখ। অর্থিক তছরুপের অভিযোগে ইডি তাকে গ্রেফতার করেছিল। মঙ্গলবার বোম্বে হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বোম্বে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, জামিনের আবেদন ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর হবে। ইডি যাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে, সেই কারণে বোম্বে হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি এনজে জমাদার অনিল দেশমুখের আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন যেহেতু ১৩ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে, তার আগে অনিল দেশমুখ বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে। তাঁকে আর্থার রোড কারাগারে তাঁকে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। অনিল দেশমুখ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল ও ২০২১ সালের মধ্যে ব্যাপক অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইডি এই বিষয়ে তদন্ত করছে।
মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিংয়ের দায়ের করা পিটিশনের জবাবে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ জারির পরেই অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। সিবিআইয়ের করা এফআইআর-এর ওপর ভিত্তি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দেশমুখের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে আর্থিক দুর্নীতি মামলা শুরু করে। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে ইডি হেফাজতে থাকার পর বোম্বে হাইকোর্ট বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ২০২২ সালের মার্চে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই সময় ইডির তরফে জানানো হয়েছে, বিপুল সম্পত্তির উৎস ও তার ব্যাখা দিতে অনিল দেশমুখ এখনও সক্ষম হননি। তারপর থেকে নিয়মিত অনিল দেশমুখ জামিনের আবেদন করে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিং অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ আর্থিক তছরুপ ও তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত। প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক সচিন ওয়াজেকেই ব্যবহার করে তিনি মুম্বইয়ের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ব্যবসায়াদের কাছ থেকে তোলাবাজি করতেন। সচিন ওয়াজাকে বর্তমানে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মাসে ১০০ কোটি টাকার সংগ্রহ করার নির্দেশ অনিল দেশমুখ সচিন ওয়াজেকে সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে পরমবীর সিং অভিযোগ করেছিলেন। পরমবীর সিং অনিশ দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করে একটি চিঠি তৎকালীন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়াকে পাঠিয়েছিলেন।