মাল নদীর পথে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে মায়ের মূর্তি

0 0
Read Time:2 Minute, 45 Second

নিউজ ডেস্ক::বড়ো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল জলপাইগুড়ির মাল নদীতে।হড়পা বাণের বিপর্যয়ের পরে প্রশাসন ভাসান বন্ধ করে দেয়।
রাস্তায় এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রতিমা। বিসর্জন দেওয়া হয়নি। গতকাল রাতের ঘটনার পর যে প্রসেশনগুলো ছিল তা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। আর সকালে গাড়িতে ঠায় দাঁড়িয়ে মা দুর্গা। এমনই ছবি মালবাজারে। অধিকাংশ দোকানপাট।
মালবাজারে ঠায় দাঁড় প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। তাই মন বিষাদে ভরে উঠেছে সকলের। রাস্তায় এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রতিমা। বিসর্জন দেওয়া হয়নি। গতকাল রাতের ঘটনার পর যে প্রসেশনগুলো ছিল তা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। আর সকালে গাড়িতে ঠায় দাঁড়িয়ে মা দুর্গা। এমনই ছবি মালবাজারে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।


যা ঘটনা ঘটল তার পর মায়ের নিরঞ্জন হয়নি। আমাদের মন খুব খারাপ। সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সব স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এমন অবস্থা। স্থানীয় ওই বাসিন্দা আরও বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকার পরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারিনি। গোটা মালবাজার বুঝে উঠতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের জেরে গত ২-৩ দিন ধরেই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কারণ, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর থেকে দক্ষিণা বাতাস সরাসরি পাহাড়ে পৌঁছে বৃষ্টি নামানোর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছিল।

দশমীতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ছিল জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে। বর্ষার শেষবেলায় এই ভারী বর্ষণই হড়পা বানের সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে। পাহাড়ি নদীর (এক্ষেত্রে মাল) উচ্চ প্রবাহ বা আপার ক্যাচমেন্টে অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হয়ে থাকলে হড়পা বানের আশঙ্কা বাড়ে। নদীখাত অগভীর হলে জলের তোড় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে হড়পা বানে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!