শোভনকে ভাঁড় কটাক্ষের পাল্টা শুভেন্দুকে ভণ্ড আখ্যা!
নিউজ ডেস্ক : নন্দীগ্রাম ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাট ধরে শুভেন্দু মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবার তার পাল্টা শোভনকে ভাঁড় কটাক্ষে বেঁধেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শোভন যখন আক্রমণের মুখে তখন তো ঢাল হয়ে দাঁড়াবেনই বৈশাখী। তাই বৈশাখী পাল্টা শুভেন্দুরে ভণ্ড বলে উপহাস করলেন।
শোভন-বান্ধবী বৈশাখার সাফ কথা, ভণ্ডামির থেকে ভাঁড়ামি অনেক ভালো। মমতা বন্যোী পাধ্যায়ের কৃপা না পেলে তো উনি কোনওদিন মন্ত্রীই হতে পারতেন না। বিরোধী দলনেতাও রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃপায়। নাম না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের জবাব দিলেন। তিলি লেখেন, ভণ্ডামি আর ভাঁওতাবাজির থেকে ভাঁড়ামি ভালো।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর নন্দীগ্রাম অভিযান নিয়ে মাঝমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুজোর দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে তাঁর বাড়িতে আপ্যায়ন করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম অভিযান ও তাঁদের শান্তিকুঞ্জের বাড়িতে একরাত কাটানো নিয়ে মন্তব্য করেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ তৃণমূল দলের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিকুঞ্জের চারতলার একটি ঘরে রাত কাটিয়েছিলেন। পরের দিন সকালে ১৪ মার্তের গণহত্যার বর্ষপূর্তির দিন সকালবেলা কাঁথির শান্তিকুঞ্জ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি থেকেই গোকুলনগরের অধিকারীপল্লি যেখানে গুলি চলেছিল সেখান থেকে মাটি সংগ্রহ করে কলকাতায় গিয়ে মিছিল করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার জন্য এসব করেছিলেন।
এরপরই শোভন চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, শিশির অধিকারীর বাসভবন শান্তিকুঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার যে দাবি শুভেন্দু অধিকারী করছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। ওই ঘটনার দিন আমি মমতাদির সঙ্গে ছিলাম। দলবদল করে বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী সত্য ঘটনাকে বিকৃত করছেন। নীতি-নৈতিকতা সবকিছুই বিসর্জন দিয়েছেন তিনি সেই সব ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আমি মিথ্যা বলতে পারব না। এর পরই শুভেন্দু তাঁকে ভাঁড় বলে কটাক্ষ করেন।
শোভনকে সেই ভাঁড় কটাক্ষের জবাব দিলেন বৈশাখী। ভিডিও বার্তায় তিনি শুভেন্দুকে ভণ্ড ও ভাঁওতাবাজ বলে আক্রমণ করেন। একইভাবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি আনুগত্য বজায় রাখলেন শোভনের মতোই। শোভন চট্টোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কোনওদিন মন্ত্রী বা সাংসদ হতে পারতেন না শুভেন্দু। সেই শুভেন্দু এখন ইতিহাস বিকৃত করছেন।